আলমডাঙ্গা অফিস
আলমডাঙ্গায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগের দিন গতকাল শুক্রবার আলমডাঙ্গার বিভিন্ন বাজারে ইলিশ কেনার হিড়িক পড়লেও দামে স্বস্তি মেলেনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাজারজুড়ে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। তবে দাম না কমায় শেষ মুহূর্তেও হতাশ হয়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ইলিশ কেনার হিড়িক থাকলেও পাইকারি ও খুচরা—দুই বাজারেই দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে ছাড় না থাকায় খুচরাতেও ছাড় দেওয়া সম্ভব হয়নি।
সাধারণ ক্রেতা মাফুজ রানা বলেন, “প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞার আগে শেষ দিনগুলোতে দাম কিছুটা কমে। কিন্তু এবার বাজারে এসে দেখি দাম আগের মতোই বেশি।” আরেক ক্রেতা শাফায়েত বলেন, “পরিবার নিয়ে বাজারে এসেছি। সবাই মিলে শেষবারের মতো ইলিশ খাবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এত দামে কিনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।” অন্যদিকে মৎস্য ব্যবসায়ী সোহরাবের দাবি, “বিক্রি না হলে প্রয়োজনে বাড়িতে নিয়ে রান্না করে খাব, তারপরও লসে বিক্রি করব না।”
সন্ধ্যার পর থেকে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন মাছ বাজারে ভিড় আরও বেড়ে যায়। শুধু একা নয়, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাজারে আসতে দেখা গেছে অনেককে। শেষবারের মতো নিষেধাজ্ঞার আগে ইলিশ কেনার সুযোগ কাজে লাগাতে ছোট-বড় সবার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিল। এক পিচ কেজি ওজনের ইলিশ ২২০০-২৬০০ টাকা, দুই পিচ ওজনের ইলিশ ১৫০০-২০০০ টাকা,চার থেকে ছয় পিচ ওজনের ইলিশ মাছ ৫০০-৭০০ টাকা বিক্রি করা হয়।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী কয়েক সপ্তাহ ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। এ কারণে শেষ দিনে বাজারে মানুষের আগ্রহ চোখে পড়লেও প্রত্যাশিত স্বস্তি মেলেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।