স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় বিএডিসি সার ডিলার নিয়োগে দুইজন অযোগ্যদের সুপারিশ করার অভিযোগ উঠেছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, নতুন নীতিমালা বাস্তবাস্তবায়নের পথে, এর মধ্যেই নতুন নীতিমালা অনুমোদনের আগেই তড়িঘড়ি করে সদর উপজেলায় দুইটি বিএডিসি ডিলার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। তবে জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব বলছেন, এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। উপজেলা পর্যায়ের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই নেয়া হবে ব্যবস্থা।
জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভা ছিলো। এদিন বিএডিসি বীজ ডিলার হতে বিএডিসি সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য যুগ্মপরিচালক (সার) বিএডিসি কুষ্টিয়া অঞ্চল, কুষ্টিয়া’র কার্যালয় হতে বিভিন্ন স্মারকে প্রেরিত ৬টি আবেদনপত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় ওই ৬টি আবেদন উপজেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটির কাছে তদন্তের প্রেরণের সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে সদর উপজেলার দুইটি আবেদন নিয়ে ডিলারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ।
ডিলারদের অভিযোগ, আবেদনকারী সাইদুর রহমান মিল্টনের পিতা আজীবার রহমান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। মিল্টন ডিঙ্গেদহ বাজারে খেজুরা রোডে ছোট্ট একটি ভাড়ার দোকানে কীটনাশক বিক্রয় করেন। আবেদনে ঠিকানা ভান্ডার দোয়া দেখানো হলেও ওই এলাকা কেন্দ্রিক তার নিজ নামে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব নাই। অন্যদিকে, মারুফ সিদ্দিকী নামের আবেদনকারীর পিতা আনোয়ার হোসেন ইতোমধ্যে বিসিআইসি এবং বিএডিসির দুইটি ডিলার একই নামে পরিচালনা করে আসছে। এই একটি পরিবারে তিনটি বিসিআইসি সারের ডিলার ও তিনটি বিএডিসি সারের ডিলার বর্তমানেই রয়েছেন। এরপরও আনোয়ার হাজির ছেলে মারুফ সিদ্দিকী ওরফে সাকিব এর নামে তড়িঘড়ি করে বিএডিসি সার ডিলার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি শুধু রেজুলেশন পেয়েছি। তাদের আবেদনের কোনো কাগজপত্র এখনো হাতে পাইনি।
জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দেয়ার পরই বিবেচনা করে সুপারিশ করা হবে। জেলা সার বীজ মনিটরিং কমিটি ডিলার নিয়োগের জন্য এখনো সুপারিশ করেনি। শুধু বিএডিসি বীজ ডিলার হতে বিএডিসি সার ডিলার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য যুগ্মপরিচালক (সার) বিএডিসি কুষ্টিয়া অঞ্চল, কুষ্টিয়া’র কার্যালয় হতে বিভিন্ন স্মারকে আবেদন এসছে।’