আলমডাঙ্গা অফিস
আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে মরা গাংয়ে মাছ চাষ ও পাট জাককে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় গ্রামে টানটান পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেশবপুর গ্রামের মরা গাংটি বহু বছর আগে কৃষিজমিতে সেচের সুবিধার্থে খনন করা হয়েছিল। বর্তমানে গাংটির জমি প্রায় ৭০-৮০ জন কৃষকের মালিকানাধীন। অতীতে অর্ধশতাধিক কৃষক যৌথভাবে মাছ চাষ করলেও সাম্প্রতিক সময়ে দখল ও লিজকে কেন্দ্র করে বিরোধ শুরু হয়।
ইউপি সদস্য মুনসুর আলী চেঙ্গিস ও আব্দুল্লাহ ওরফে আবুজেল অভিযোগ করে বলেন, প্রায় সাত বছর মরা গাং কচুরিপানায় ভরাট ছিল। দুই বছর আগে গ্রামের সম্মতিতে তা পরিষ্কার করে মাছ চাষ শুরু করি। বর্তমানে গাংয়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে। ২৫ বিঘা গাংয়ের অংশ আমরা স্থানীয় মালিকদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। মালিকরা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ছুয়াদ ও সুজনসহ কয়েকজন জোরপূর্বক গাংয়ে পাট জাক দিয়েছে। নিষেধ করলে তারা হুমকি-ধামকি দেয়। এমনকি আমাদের বাড়িতে এসে হামলার চেষ্টা করে। গাংয়ে পাট জাক দিলে অর্ধকোটি টাকার মাছ নষ্ট হয়ে যাবে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অন্যদিকে ছুয়াদ ও সুজন গ্রুপের দাবি, মরা গাং ব্যক্তিমালিকানাধীন। তাদেরও জমি আছে এবং নিজেদের অংশে তারা পাট জাক দিয়েছেন। ইউপি সদস্যের দাবি অনুযায়ী যে লিজ চুক্তি হয়েছে, সেখানে তারা বা তাদের গ্রুপের কেউ স্বাক্ষর করেননি। বরং জাল স্বাক্ষর ব্যবহার করে কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়ে স্ট্যাম্প লেখক মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আমজাদ মহুরী বলেন, লিজের স্ট্যাম্প করার সময় কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। যারা উপস্থিত ছিলেন তারা স্বাক্ষর করেছেন। বাকীদের স্বাক্ষর হয়েছে কিনা তিনি নিশ্চিত নন।
এ নিয়ে দুই পক্ষের টানাপোড়েন দিন দিন বাড়ছে। গ্রামে সাধারণ মানুষ চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তারা সম্ভাব্য সংঘর্ষ ঠেকাতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।