মেহেরপুর অফিস
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী আশরাফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্র মারধোর, গালিগালাজ করা এবং বিভিন্ন কাজে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, বিদ্যালয়ের দপ্তরী আশরাফুল ইসলাম ঘটনার দিন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রোহানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষার খাতার কাজ করাচ্ছিলেন। খাতায় সীল মারার সময় রোহানের ভুলে কয়েকটি খাতা নষ্ট হলে আশরাফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে রোহানকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। তার চোখের নিচে ঘুষি মেরে ফোলা জখম করে দিয়েও গালাগালি করেন। কান্না করতে করতে সে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক শিক্ষিকার কাছে ঘটনাটি জানালে তিনি শিশুটিকে সান্ত্বনা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
শিশু শিক্ষার্থী রোহান ধানখোলা উত্তরপাড়ার রিপন হোসেনের ছেলে এবং ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
রোহানের মা তপিয়ারা খাতুন বলেন, “ছেলেকে লেখাপড়ার জন্য স্কুলে পাঠিয়েছি। শিক্ষকরা শাসন করলে বুঝতাম, কিন্তু দপ্তরি কীভাবে আমার ছেলের গায়ে হাত তোলে? আমি বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট জানার জন্য বিদ্যালয়ে গেলেও তিনি অফিসিয়াল কাজে বাইরে থাকায় আমি কথা বলতে পারিনি।
মারধরের শিকার ছাত্র রোহান জানায়, খাতা নষ্ট হওয়ার পর আমি বলেছিলাম আঙ্কেল, আমি খাতা কিনে দেবো। তবুও তিনি আমাকে মারধর করেছেন, শুধু আমাকে নয়, আরও দু’একজন ছাত্রকেকে মারধর করেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি শিক্ষা অফিসে কাজে ছিলাম। একজন শিক্ষিকাকে দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলাম। পরে ফিরে এসে বিষয়টি জানতে পেরে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। কেন শিক্ষার্থীদের দিয়ে দপ্তরীর কাজ করানো হয়েছে এবং কেন তাদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে? এর কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি সে। আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ওবায়দুল্লাহ জানান, “আমি ঘটনাটি শুনেছি। খুব শিগগিরই বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করব। প্রমাণিত হলে দপ্তরীর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা দপ্তরীর এ ধরনের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।