অনলাইন ডেস্ক
নতুন যমুনা রেলসেতু চালুর পর পুরোনো যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে সেতুর রেললাইন অপসারণের কাজ চলছে। এতে প্রায় সাড়ে ১১ ফুট জায়গা বের হবে। যা যমুনা সেতুর সড়ক পথকে আরও প্রশস্ত করবে।
সেতু বিভাগ জানিয়েছে, এই বাড়তি জায়গা সড়কপথে যুক্ত করে যানজট কমানো এবং দুই পাড়ের চার লেনের মহাসড়কের সঙ্গে সেতুর প্রস্থ সমান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নকশা ও ব্যয় নির্ধারণের জন্য দেশের ছয়টি প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন।
সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের নকশা ও মতামত পাওয়ার পরই সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যেই কাজ শুরু সম্ভব।
বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতিটি লেন আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে সরু, প্রায় ২০ ফুটের কিছু বেশি। কিন্তু থাকতে হয় ২৪ ফুট। ফলে ব্যস্ত সময়ে, বিশেষ করে ঈদ ও ছুটির দিনে, সেতুর দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। গত ঈদুল আজহায় এক দিনে এ সেতু দিয়ে ৬৪ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপারের রেকর্ড হয়েছে, যেখানে দৈনিক গড়ে চলাচল করে ২২ হাজার যান।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আহম্মদ হোসেন মাসুম জানিয়েছেন, তিন মাসের মধ্যে রেললাইন অপসারণ করা হবে। এর মধ্যে সেতু বিভাগের অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ হবে।