জীবননগর অফিস
জীবননগর পৌর এলাকার নারায়ণপুর গ্রামের কিশোর সাজ্জাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলাকে ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করেছে তার পরিবার। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জীবননগর প্রেসক্লাবে এক এক সংবাদ সম্মেলনে তার পরিবার এই দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে সাজ্জাদের বাবার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার মামাতো ভাই মুন্না মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে মুন্না বলেন, সাজ্জাদ হোসেনের বয়স মাত্র ১৫ বছর। সে গত দুই বছর ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে রড-মিস্ত্রির কাজ করে। জীবননগর দক্ষিণপাড়ার সুমন সাহেবের মেয়ে সুমাইয়া খাতুনের বয়সও ১৫ বছরের মতো। সাজ্জাদ ও সুমাইয়া খাতুনের প্রায় এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ জুলাই সুমাইয়া খাতুন নিজ ইচ্ছায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে সে সাজ্জাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিয়ের জন্য দুজন সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সাজ্জাদ ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম থেকে রওনা দেয়। পরে তারা ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক নাসারাবাদ এলাকায় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর সামাজিক নিয়ম-নীতির প্রতি সম্মান রেখে এবং ভবিষ্যতের দায়িত্ববোধ থেকে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমরা ২৪ জুলাই জীবননগরে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করি। তবে সেখানে বিষয়টি সমাধান হয়নি। এ সময় মেয়ে বাবার বাড়িরও ফিরতে রাজি হচ্ছিল না। পরে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।আমার ছেলে সম্পর্কে যে সকল বিভ্রান্তিকর বা ভিত্তিহীন তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।