দর্শনা অফিস
দর্শনা-কার্পাসডাঙ্গা সড়কের গলাইদড়ি সেতুর দুপাশে ৩০ টি লাইট পোস্টের মধ্যে প্রায় ২০ টি লাইট নস্ট হয়ে গেছে এবং বাকি ১০ টিও টিপ টিপ করে জ্বলে আর নেভে। ফলে রাতে পথচারি পারাপারে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে বলে এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেছেন। এ সুযোগে অপরাধিরা চুরি-ছিনতাই করতে পারে বলেও অনেকে ধারনা করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া দরকার বলে এলাকাবাসিরা জানালে
ভুক্তভোগি লোকজন ও সেতু পারাপারে আসা ব্যক্তিরা দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গাকে জানান, কার্পাসডাঙ্গাসহ নদী পারের প্রায় ২০/২৫ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিন গলাইদড়ি সেতু পার হয়ে রেল বা পরিবহন যোগে দর্শনা ও জেলা শহর এমনকি বিভাগীয় বা রাজধানি শহর ছাড়াও পাসপোর্টে বিভিন্ন জরুরি কাজের জন্য ভারত যাতায়াত করে থাকে। এলাকার চাষীরা দুপুরে বিকালে তাদের কষ্টার্জিত ফসল ধান পাঠ আম কাঠাল তরিতরকারি বিক্রি করে সন্ধায় বা রাতে কেউ কেউ একটু বেশী রাতে ঐ সেতু দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। ঐ সেতুর আগে পরে অন্ধকার তো থাকেই কিন্ত সেতুর দুপাশে যে লাইট পোস্ট দেয়া ছিলো সেটারও অধিকাংশ নস্ট হওয়ায় যাতায়াতে বেশ ঝুকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে রাতের বেলা যাতায়াত কারিরা নিরাপদে বাড়ি ফেরা নিয়ে বেশ ভাবনায় পড়েছে।
এলাকাবাসিরা এ প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেন যে, যারা লাইট পোস্ট নির্মান কাজের টেন্ডারটি পেয়ে ছিল তারা বলেছিল লাইটে কোন সমস্যা হলে লাইটপোস্টে দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে আমরা চলে আসবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় সে নাম্বারগুলো সবই বন্ধ। কোন সংযোগ পাওয়া যায়না। বিষয় আসলেই এলাকাবাসিদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে। কারন গলাইদড়ি সেতু দিয়ে প্রতিদিন শতশত লোকজন যাতায়াত করে থাকে।
স্থানীয়রা বলেন জনপ্রতিনিধিরাও খোজখবর রাখেনা, অভিযোগটি কার কাছে জানাবো, একমাত্র সাংবািকরাই লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরলে হয়তো সমাধান হতে পারে। সেতুটি নির্মানের পর রংচং করা ও দেশের বড়বড় শহরের আদলে লাইটপোস্ট বসানো সহ অন্যান্য কারুকার্যে বেশ নয়নাভিরাম দৃশ্যের অবতারনা হয়ে ছিল। কিন্ত লাইটপোস্টের লাইটগুলো অকেজো হওয়ায় সেতুতে ভুতুড়ে পরিবেশের সৃস্টি হয়েছে। এ সুযোগে লাইট পোস্টের অকেজো বাল্ব হোল্ডার মুল্যবান ব্যাটারি চুরি হয়ে যেতে পারে বা সেতুতেও চুরি ছিনতাই হওয়ার আশংকা করছেন এলাকার সচেতন মহল। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন দেখবেন বলে স্থানীয়রা দাবি তুলেছে।
উল্লেখ বিগত ১৯৯০ সালের দিকে বিএনপি সরকারের মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অবঃ কর্নেল অলি আহম্মেদ গলাইদড়ি সেতু নির্মানের প্রথম অবকাঠামো তৈরি করে তার মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন। পরে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বি এন পির দলীয় সংসদ সদস্য হাজী মোজাম্মেল হক সেতুর কাজটি অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন। পরে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জামায়াত সমর্থিত সংসদ সদস্য মাওলানা হাবিবুর রহমান ততকালিন সময়ে যোগাযোগ করে লোহার পাটাতন দিয়ে সেতু নির্মানের অনুমোদন নিয়ে আসেন। পরবর্তিতে দর্শনা-মুজিবনগর সড়ক অবকাঠামো নির্মান কাজের টেন্ডার আহবান হলে সড়কের সাথে সেতুটি পুর্নাংগ ভাবে নির্মিত হয়। তবে সেতুটির নাম গলাইদড়ি হওয়ায় জাতীয় সংসদে এ নিয়ে বেশ হইচই পড়ে যায়।
দর্শনার গলাইদড়ি সেতু পথচারী পারাপারে নিরাপত্তার ঝুঁকি
