অনলাইন ডেস্ক
ইরানে হামলার মাত্র দু’দিন আগেই ইসরাইলে গোপনে ৩০০ অত্যাধুনিক এজিএম-১১৪ হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এসব ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর পর শুক্রবারই ইরানে এক নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরাইল।
শনিবার দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। বিষয়টি স্পষ্ট করে, ইসরাইলের হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে আগে থেকেই জানত ওয়াশিংটন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে থেকেই বড় পরিসরে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুত করছে ইসরাইল। এরই অংশ হিসাবে ইরানে হামলার মাত্র দু’দিন আগে মঙ্গলবার ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। অথচ সেই সময় ট্রাম্প প্রশাসন বলছিল তারা ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায়।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আলোচনা ছিল মূলত কৌশলগত সময়ক্ষেপণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তারা মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, হেলফায়ার সরবরাহের পরিমাণ এবং সময়সূচি স্পষ্ট করে দেয়, ইরানে ইসরাইলের হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে আগে থেকেই ভালোভাবে অবগত ছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
এজিএম-১১৪ হেলফায়ার একটি অত্যাধুনিক লেজার-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র। যা মূলত সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে মানবসম্পদ, কমান্ড পোস্ট বা ছোট ঘাঁটিতে। ইরানে হামলায় এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরাইল।
এদিকে উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস টমাস হাডনারকে পশ্চিম ভূমধ্যসাগর থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের দিকে যাত্রা শুরু করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজকেও অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে হোয়াইট হাউজের অনুরোধে তা প্রস্তুত থাকতে পারে। মার্কিন নৌবাহিনীর আরও যুদ্ধজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউএসএস কার্ল ভিনসন। যা বর্তমানে আরব সাগরে রয়েছে। এটি এই অঞ্চলে একমাত্র মোতায়েনকৃত বিমানবাহী রণতরী।
এছাড়া ইউএসএস নিমিটজ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এবং ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন সম্প্রতি জাপান ত্যাগ করেছে। প্রয়োজনে তাদেরও মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বিমান ঘাঁটিগুলোতেও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।