সকালের নাশতায় পেঁপে কেন রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নিন

এ ছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি-কমপ্লেক্স (যেমন ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড), ফাইবার ও খনিজ পদার্থ যেমন ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। শুধু হজমই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে হৃদরোগ ও ত্বকের সমস্যার মতো বহু বিষয়ে উপকার করে এই সহজলভ্য ফল। চলুন, জেনে নিই।

ওজন কমাতে সহায়ক
পেঁপেতে ক্যালোরি কম ও ফাইবার বেশি।
এই ফল দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

হৃদরোগ প্রতিরোধে উপকারী
পেঁপের উপাদানগুলো রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে কার্যকর।

রক্তে শর্করা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
কম চিনি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত হওয়ায় পেঁপে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপযোগী। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

প্রদাহ ও ব্যথা কমায়
পেঁপেতে থাকা পাপাইন এনজাইম ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ যেমন কোলিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যার আশঙ্কাও হ্রাস করে।

লিভারের যত্নে পেঁপে
পেঁপের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন এ, সি লিভারের কোষকে রক্ষা করে। এটি লিভারের টক্সিন দূর করতে এবং ফ্যাট জমার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।

ত্বকের জন্য উপকারী
পেঁপেতে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম ও ফ্ল্যাভোনয়েড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং পোড়া বা ক্ষত ত্বক নিরাময়ে সহায়তা করে।

হজমশক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমে উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি এতে থাকা পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করে। সূত্র কালেরকণ্ঠ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *