স্টাফ রিপোর্টার : গত বছর এপ্রিল মাসজুড়ে তাপমাত্রা ভয়াবহ আকার ধারন করেছিলো। টানা তীব্র তাপদাহে মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছিলো। প্রতিদিনই তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড তৈরী হয়েছিলো। ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ৩৯ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালে মে মাসে চুয়াডাঙ্গায় ৪৩.৫ ডিগ্রি ও ২০১৪ সালের ২১ মে ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিতের সব তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছিলো। চুয়াডাঙ্গা তীব্র দাবদাহে মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছে। তীব্র রোদে ফসল পুড়ে যাচ্ছে, পুকুরের মাছ মরে যাচ্ছে। ঘরের বাইরে বের হলে শরীর পুড়ে যাচ্ছেসহ নানান খবর টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে ফলাও করে পরিবেশন করা হয়।
এদিকে চলতি বছর এপ্রিল মাসে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে গত বছরের থেকে এ বছর এপ্রিল মাসের আবহাওয়া অনেক সহনীয়। গত বছরের থেকে এ বছর তাপমাত্রা একই সময়ে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে। এতে সাধারন মানুষ থেকে দিনমজুর সবাই স্বস্তির মধ্যে রয়েছে। রোদ, গরম কম থাকায় ফসলের মাঠ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। চলতি মাসে ২৩ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.৮ ডিগ্রী। রাতে সামান্য বৃষ্টিতে কিছুটা শীত অনুভূত হয়েছে। এ মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে মৃদ্যু তাপপ্রবাহ অর্থাৎ ৩৬-৩৭.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯দিন এবং ৩৮-৩৯.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে অর্থাৎ মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে জেলার উপর দিয়ে ৩ দিন। সেখানে গত বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৫ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র অর্থ্যৎ ৪০-৪৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর মধ্যে ৮দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, আগামী ৫/৬ মে পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩২-৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করতে পারে। দিনের বেলায় রোদ থাকলেও সন্ধ্যার দিকে ঝড়, বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চলতি মাসের প্রথমে বঙ্গপোসাগরে লঘু চাপের সৃষ্টির হওয়ায় আকাশে প্রচুর মেঘ তৈরী হয়। এ কারনে চুয়াডাঙ্গাসহ আশেপাশের জেলায় কোথাও না কোথাও মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও ভারত থেকে পশ্চিম বাংলার দুটি এলাকা চুয়াডাঙ্গা ও রাজশাহী দিয়ে লু হাওয়া বয়ে যায়। এবার সেটা যায়নি। এ কারনে গত বছরের থেকে এ বছরের থেকে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা অনেক শীতল রয়েছে।