জীবননগর অফিস
জীবননগরে আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদারদের কাছে থাকা ১১ কাঠা জমি ১২ বছর পর আদালতের রায়ে ফিরে পেলেন আমজাদ হোসেন। শনিবার সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের নায়েব নাজির নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ, ভূমি অফিস এবং উপজেলা প্রশাসনের একটি যৌথ দল অভিযানে অংশ নেয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মৃত ফকির মোহাম্মদ মাস্টারের পুত্র আমজাদ হোসেন (৫৫) এর মালিকানাধীন ১১ কাঠা জমি অবৈধভাবে দখল করে আসছিলেন একই গ্রামের আব্দুল করিমের পুত্র আশরাফ আলী। এরপর ২০১৩ সালে ঐ জমির মালিকানা দাবী করে আমজাদ হোসেন বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ১২৪/১৩। মামলা চলাকালীন বাদীপক্ষ আদালতে জমির সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপনে ব্যর্থ হয় এবং নিয়মিত মামলার শুনানীতে অংশ না নেয়ায় আদালত মামলাটি বাদীর অনুকুলে রায় ঘোষনা করে। পরে বিবাদী আশরাফ আলীর অবৈধ দখলে থাকা ১১ কাঠা জমি মামলার বাদী আমজাদ হোসেনকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল কোর্ট কমিশনারের নির্দেশে নায়েব নজরুল ইসলাম নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় ঢোল পিটিয়ে এবং লাল পতাকা টাঙিয়ে অবৈধ দখলদারদের জমি উদ্ধার করা হয় এবং প্রকৃত মালিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আদালতের রায় ও প্রশাসনের উদ্যোগে অবশেষে জমির বৈধ মালিকরা তাদের দখল ফিরে পেলেন। জমির দখল বুঝিয়ে পেয়ে জমির মালিকগণ আদালতের নিকট ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে জানান।
জমির মালিক আমজাদ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন জানান, আমার ১১ কাঠা চাষের জমি ভুয়া দলিলের মাধ্যমে অবৈধভাবে দখল করেছিল আশরাফ আলী। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে আমি বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর বিজ্ঞ আদালত কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর জমি দখলের জন্য আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং প্রশাসনের সহযোগিতায় আমার জমি আমি ফিরে পাই। আমি আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।


