স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় মন্টুকে গলা কেটে হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মোক্তাগীর আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বারুইপাড়ার মৃত তোয়াক্কেল মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৪৭), একই পাড়ার মৃত রবিউল ইসলামের ছেলে আসান ওরফে তোতা মিয়া (৪৬), জয়রামপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার লাল চাঁদ মণ্ডলের ছেলে বাবু (৪৬) ও মল্লিকপাড়ার আব্দুস ছাত্তারের ছেলে জাহিদ হোসেন (৩৯)। আসামিদের মধ্যে আসান ওরফে তোতা মিয়া পালাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে ২০১৪ সালের ৬ মে রাতে মন্টু ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুমন্ত অবস্থায় ৫-৬ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী মন্টুকে গলা কেটে হত্যা করে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আজিজুর রহমান ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে মামলার বিচার চলা অবস্থায় জয়রামপুর গ্রামের ডাক্তারপাড়ার মফিজ বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন মারা যান। ২০ সাক্ষীর মধ্য ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৪জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও আনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।