স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় রেলগেটের ওভারপাস দ্রুত নির্মাণ, রাস্তা প্রশস্তকরণ ও ঝূকিপূর্ণ ভবন অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় জনসাধরণ ও কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রেলবাজার কামিল মাদরাসার গেটের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়।
“চুয়াডাঙ্গার শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য রাস্তা প্রশ্বস্ত করণ, রাস্তার পাশের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন অপসারণ ও চলমান ধীরগতির ওভার নির্মাণ দ্রুত সম্পন্ন করণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে । মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মাহমুদুল হক পল্টু। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা প্রধান সড়ক দিয়ে মাদ্রাসায় যাতয়াতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। চলমান ধীরগতির ওভারপাস নির্মাণের কাজটি এখন চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ এই সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া প্রধান সড়ক হয়ে যে রাস্তাটি ব্যবহার করে চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, হেফজুল কোরআন শাখার শিক্ষার্থী ও ওয়াইসি জামে মসজিদে যাতায়াতকারী মুসল্লীগণ এই সরু রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে থাকে।
মাদ্রাসায় ঢোকার মুখে সড়ক সংলগ্ন ড্রেনটি ভেঙ্গে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ সমস্যাগুলোর দ্রুত সমাধান চাই। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার ওভারপাস নির্মাণ কর্তৃপক্ষের কাছে সমস্যাগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ্য খালিদ সাইফুল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা কামিল মাদ্রাসার গভার্নিং বডির সদস্য ও রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সহকারি অধ্যাপক আবুল হাশেম, আতিয়ার রহমান, শরিফুল ইসলাম, আবু জায়েদ আনসারী, ফরহাদ হোসেন ও রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল।
প্রসংগত ৩ বছর পূর্বে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। গত বছর ২০২৪ সালের ৩০ জুন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। তবে গত বছর কাজের মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। তবে জুলাই /২০২৫ পর্যন্ত ফøাইওভার নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৫৭ ভাগ। কবে নাগাদ এর কাজ শেষ হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলতে পারছে না। এ কারনে অত্র অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষের দ্রুভোগ চরমে উঠেছে। শহরের বাস টার্মিনাল থেকে টাউন ফুটবল মাঠ পর্যন্ত সার্ভিস লেনের কোন চিহ্ন না থাকায় মানুষ ফুঁসছে। এলাকাবাসী দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান। তা না হলে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।