মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৬ মাসে ২৯ কোটি টাকার মাদক ও সোনা উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার

মহেশপুর ৫৮ বিজিবি গত সাড়ে ৬ মাসে অভিযান চালিয়ে ২৯ কোটি টাকা মুল্যের বিভিন্ন ধরনের মাদক ও সোনা উদ্ধার করেছে। একই সাথে অবৈধভাবে বাংলাদেশ-ভারত পারাপারের সময় ২ হাজার ১১৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক, ১৮ জন ভারতীয় নাগরিক ও ৩৩ জন দালালকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারী/২০২৫  থেকে ২০ জুলাই/২০২৫ পর্যন্ত ৫৮-বিজিবির আওতাধীন মহেশপুর উপজেলা, জীবননগর উপজেলা ও দামড়হুদা উপজেলার ১০৪.৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে উপরোক্ত সামগ্রী আটক করা হয়।

৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক আবু হানিফ মোঃ সিহানুক রবিবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান প্রতিরোধ বিজিবি’র একটি অন্যতম কাজ। ৫৮ বিজিবি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এবং দামুড়হুদা উপজেলার সর্বমোট ১০৪.৫ কিঃ মিঃ সীমান্ত প্রহরার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। বিগত সাড়ে ৬ মাসে ভারতে থেকে পাচার করে নিয়ে আসা  ৭ হাজার ৯২০ বোতল মদ, ৯ হাজার ৫১৭ বোতল ফেন্সিডিল, ৬৮ কেজি ২৬৩ গ্রাম গাঁজা, ৪৫ হাজার ৮০৬ পিস ইয়াবা, ৫ কেজি ১১১ গ্রাম কোকেন, ৬ কেজি ৪০৫ কেজি হেরোইন, ২৩ হাজার ৫১০ পিস ভায়াগ্রা/ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৫০ হাজার ৬৪৫ পিস ক্যান্সার প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন প্রকার ঔষধ, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কসমেটিকস, পোশাক আইটেম, সার, কীটনাশক, ভিওআইপি মেশিন, সানগ্লাস, আতশবাজিসহ বিভিন্ন মালামাল আটক করা হয়।  যার সর্বমোট সিজার মূল্য ২৪ কোটি ১৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৪৬ টাকা। একই সময়ে ৩ কেজি ৬৫৪ গ্রাম স্বর্ণ আটক করা হয়। যার বাজার মূল্য ৪, কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ৫০২ টাকা।

অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় ১ হাজার ১৩৮ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় ৯৭৯ জনকে আটক করা হয়। এছাড়াও অবৈধভাবে বাংলাদেশ-ভারত আসা যাওয়ার সময়  ১৮ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। এর বাইরে অবৈধপথে যাতায়াতের সহায়তাকারী ৩৩ জন দালালকে আটক করা হয়। এদের  মধ্যে শংকর অধিকারী (৩৯) নামক ০১ জন ভারতীয় মানবপাচারকারী রয়েছে। উক্ত সময়ে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ৪টি দেশী পিস্তল ও ১৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে বিজিবি ৯ টি টাস্ক ফোর্স অপারেশনে অংশগ্রহণ করে।  যেখানে অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না দোয়ারী জাল, ভারতীয় মদ, ভারতীয় শাড়ী, ভারতীয় শাল, ভারতীয় থ্রি-পিচ আটক করে। যার বাজার মূল্য ৯০লাখ ৮৮ হাজার ৬১৫ টাকা। ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা করা হয় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

এদিকে গত ২৫ মে থেকে ৩০ মে তারিখে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী ৫২ জন বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশে পুশ-ইন করা হয়। পরবর্তীতে বিএসএফএর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রেক্ষিতে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী ১৮৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে বিএসএফ পুশ-ইন না করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবি’র নিকট হস্তান্তর করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *