স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ইমারজেন্সি কক্ষের পশ্চিম পাশে জমেছে ময়লার স্তুপ। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। হাসপাতালের ড্রেনগুলোতে প্রচুর পরিমাণে এডিস মশার লার্ভা জন্ম নিয়েছে। যেখান থেকে সৃষ্টি হচ্ছে মশাবাহিত রোগ । হাসপাতালের পিছনে জন্মেছে আগাছা যেখানে ক্ষতিকর সরীসৃপ ও বন্য প্রাণীর বসবাস। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান হাসপাতালের এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে হাসপাতালের জানালাগুলো খোলা যায় না। জানালা খুললেই বাহির থেকে দুর্গন্ধ আসে যা রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। হাসপাতালকে আরো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, এখানকার টয়লেটগুলো বেশ অপরিচ্ছন্ন। এসকল অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের পিছনে রোগীর স্বজনদেরকেই দায়ী করেন অনেকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স জানান, হাসপাতালটি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ১০০ শয্যা বিশিষ্ট চলমান আছে। রোগীর তুলনায় হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা খুবই কম। রোগীর চাপ বেশি থাকলে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খান তারা। তাছাড়া পুরো হাসপাতালের জন্য মাত্র ৬ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী কাজ করে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা ডাস্টবিন ব্যবহার না করে যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখে। এতে করে মাত্র ৬ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দ্বারা পুরোপুরি হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন করা যায় না। পরিচ্ছন্ন কর্মীর সংকটের কারণে হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গায় ময়লার স্তূপ জমে উঠেছে। হাসপাতালের এই অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।