খন্দকার শাহ আলম মন্টু, আলমডাঙ্গা অফিস
আলমডাঙ্গা শহরের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। চাল, পেঁয়াজ, মাছ, মাংস ও সবজির দাম কয়েক মাস ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মনিটরিংয়ের অভাব ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজির কারণে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
আলমডাঙ্গা তহ বাজারে বাজার করতে আসা গৃহবধূ আরিফা বেগম বলেন, বাজারে গিয়ে দামের কারণে প্রতিদিনই হিসাব মেলাতে হিমশিম খেতে হয়। মাস শেষ হওয়ার আগেই খরচে টান পড়ে যাচ্ছে।
দিনমজুর আলতাফের ক্ষোভ, আগে সপ্তাহে একদিন হলেও মাছ খেতাম। এখন এক কেজি মাছ কেনাও কষ্ট। সরকার যদি নিয়মিত তদারকি করত, তাহলে এমন পরিস্থিতি হতো না। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ দোকানে মূল্যতালিকা টাঙানো থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভোক্তারা।
স্থানীয় খুচরা দোকানদার আনোয়ার বলেন, পাইকারি দামে মাল কিনতেই আমাদের কষ্ট হয়। তাই অনেক সময় আমরা দাম বাড়াতে বাধ্য হই। তবে কিছু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে, প্রশাসনের নজরদারি দরকার।
আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশীষ কুমার বসু এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে ভোক্তাদের দাবি, এসব অভিযান জোরালো না হলে তেমন কোনও পরিবর্তন আসবে না।
একাধিক ভুক্তভোগী মনে করছেন, সিন্ডিকেট ভাঙা না গেলে ন্যায্য দামে পণ্য পাওয়া যাবে না। গৃহবধূ শারমিন বলেন, নিম্নবিত্তের জন্য তো বাজারে যাওয়া মানেই দুর্ভোগ। সরকার যদি কঠোর ব্যবস্থা নিত, তাহলে অন্তত কষ্টটা কিছুটা কমতো।