আলমডাঙ্গায় সমতায় তারুণ্য প্রকল্পের একদিনের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গা অফিস
তরুণদের নেতৃত্বে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু করেছে চার বছর মেয়াদি ‘সমতায় তারুণ্য: ইয়ুথ ফর ইকুয়ালিটি’ প্রকল্প। গতকাল শনিবার দিন ব্যাপী আলমডাঙ্গা উপজেলার লাইলা কনভেনশন হলের হলরুমে আয়োজিত এক সেমিনারের মাধ্যমে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়।
প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও যুব-নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে যুব দক্ষতা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। এ প্রকল্পটি নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে এবং ২০২৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮টি বিভাগে একযোগে কার্যক্রম চলবে। প্রকল্পটির লক্ষ্য সমাজে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, লিঙ্গ-সমতা প্রতিষ্ঠা, এবং প্রচলিত নেতিবাচক জেন্ডার ধারণাগুলোর পরিবর্তন। পাশাপাশি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে যুব ও যুব-নেতৃত্বাধীন সংগঠনগুলোর দক্ষতা ও প্রভাব বৃদ্ধি এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশজুড়ে এই প্রকল্পের প্রত্যক্ষ উপকারভোগী সংখ্যা ১৩,৫১৫ জন, যার মধ্যে রয়েছে ২৫২টি যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠনের ১২,৬৯০ জন সদস্য। এছাড়া, জাতীয় যুব পরিষদের সদস্য, সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, কনটেন্ট নির্মাতা এবং গণমাধ্যমকর্মীরাও এ প্রকল্পের অংশ। গণমাধ্যমের সঙ্গে অংশীদারত্বে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আরও প্রায় ২০ লাখ মানুষের কাছে ইতিবাচক সামাজিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ‘সমতায় তারুণ্য’।
সেমিনারের অংশ হিসেবে দিনব্যাপী একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে ৩৫ জন তরুণ-তরুণী ৫ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। আল রোমাজ রাজন এবং ফাতেমা আক্তার ইতি প্রশিক্ষণটি পরিচালনা করেন। অংশগ্রহণকারীদের নেতৃত্বের গুণাবলি, জেন্ডার সমতা, মানবিকতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক ধারণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে যুব দক্ষতা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অঞ্জন সাহা আবির, প্রচার সম্পাদক তারেক,আসিফ, এবং সদস্য পলক, আরাফাত প্রমুখ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, “এই প্রকল্প তরুণদের সচেতন, মানবিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। তারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের দূত হয়ে উঠবে, যা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়তা করবে।