চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েকদিনের কুয়াশা শেষে দেখা দিয়েছে সূর্যের, জনজীবনে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার

টানা কয়েকদিনের কুয়াশা ও মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশে থাকার পর অবশেষে দেখা মিলল সূর্যের। বরাবরই চুয়াডাঙ্গাতে শীতের তীব্রতা বেশি দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। পৌষ মাসের শুরুতেই তীব্র শীতে হঠাৎই যেন জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসে। টানা কয়েকদিন হিমেল হাওয়ার সঙ্গে দেখা যায় কুয়াশা। তীব্র শীতে বিপর্যস্ত ছিল জনজীবন। কয়েকদিনের এই কুয়াশা কাটিয়ে অবশেষে এক মুঠো রোদ যেন স্বস্তি এনে দিল চুয়াডাঙ্গার মানুষের মাঝে।

জানা যায়, প্রতিবছরই চুয়াডাঙ্গাতে থাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। যার কারনে জেলার সাধারণ মানুষের মাঝে নেমে আসে বিপর্যয়। বিশেষ করে ছিন্নমূল, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন পড়ে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে। গত কয়েকদিনে দেখা মেলেনি সূর্যের। যার কারনে একই রকমভাবে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আয়ের মানুষদের। কিন্তু গতকালকে সূর্যের দেখা পাওয়ায় যেন স্বস্তি নেমে এলো চুয়াডাঙ্গার জনসাধারণের মাঝে। শীতের তীব্রতা একই রকম থাকলেও দিনে যেন মানুষ এক ঝলক রোদের পথ চেয়ে বসেছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার দিনমজুর আবুল হাশেম বলেন, টানা তিন দিন কুয়াশা এবং মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় আমাদের কাজে যেতে খুবই কষ্ট হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আজ সূর্যের দেখা পেয়ে বেশ ভালো লাগছে। রোদের উষ্ণতায় আমাদের কাজ করতে আর বেশি কষ্ট হবে না।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা আসাদুল হক বলেন, চুয়াডাঙ্গাতে দিনের তুলনায় রাতে বেশি শীত পড়ছে। কয়েকদিন দিনের বেলাতে সূর্য না দেখা দেওয়াই শীতটা বেশি মনে হচ্ছিল। তবে আজ সূর্য দেখা দেওয়াই আমরা একটু স্বস্তি পেয়েছি। বর্তমানে শীত একটু কম অনুভূত হচ্ছে। রিকশাচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিনের তীব্র শীতে আমরা ঠিকমতো কাজে বের হতে পারিনি। মানুষের চলাচল কম ছিল যার কারণে রিকশাতে যাত্রীও কম হয়েছে। আজকে সূর্য দেখা দেওয়ায় মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও শীত কমেনি তবুও মানুষ একটু স্বস্তি পাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জাহিদুর রহমান বলেন, মেঘ কেটে গিয়ে ঝলমলে রোদ দেখা দিয়েছে। আজও সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার আকাশে সূর্য্যরে দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ১১/১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করতে পারে। এর পর তাপমাত্রা কমে শৈত্য প্রবাহ আসতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *