স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলার সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম, চলমান প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। সভার শুরুতে গত মাসের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন সহকারী কমিশনার এস.এম আব্দুর রউফ শিবলু।
উক্ত সভায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সড়ক যোগাযোগ, পানি ও বিদ্যুৎ উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ইতিবাচক অগ্রগতি তুলে ধরে ভবিষ্যতে আরও কার্যকরী পদক্ষেপের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, এ বছর অতি বৃষ্টির ফলে জীবননগরে খাল ও কালভার্ট গুলোর যে দুরবস্থা হয়েছে তার দ্রুতই সমাধান করতে হবে। মানুষের চলাচল রাস্তা ও কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সকল সমস্যার সমাধানে চার সদস্য সংখ্যা বিশিষ্ট একটি উপ-কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আরোও বলেন, মৎস্য চাষে কোন প্রকার সার প্রয়োগ করা যাবে না। যারা মৎস্য চাষি আছেন, তারা কোন ডিলারের কাছ থেকে সার নিতে পারবেন না। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসে যে রোগাক্রান্ত ও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রয় করা হয়। বাজারগুলোতে রোগাক্রান্ত গরুর মাংস বিক্রয় করা হলে তৎক্ষণাৎ তার ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রয়োজনে সেনেটারি ইন্সপেক্টরকে নিয়মিত বাজারগুলো পরিদর্শন করতে হবে। জেলা সমন্বয় কমিটির সভাটি জেলার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা এখানেই করা হয়। আসন্ন নির্বাচনের পূর্বে আমাদের প্রস্তুুতি নিতে হবে। এবারের নির্বাচন সুন্দর সুষ্ঠভাবে করা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। বিগত দিনের নির্বাচনগুলো বিতর্কিত থাকায় জনগন আমাদের ওপর একটু বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, তাই অতিতের ভুল ভ্রান্তি সুধরিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী এবার নির্বাচনে কাজ করতে হবে।
সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, চুয়াডাঙ্গায় প্রায় ১হাজার ২শ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়ে থাকে। এই তামাক চাষের ফলে মাটি তার উর্বরতা হারায়। তাই সকল কৃষকদেরকে তামাক চাষে নীরুৎসাহিত করা হবে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক দীপক কুমার সাহা বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলাব্যাপী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন রকমের জনসচেতনতা মূলক উঠান বৈঠক অব্যাহত রয়েছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বি.এম তারিক উজ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মিনহাজ উল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান সাহেল, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-আমিন, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পান্না আক্তার, সহকারী কমিশনার এস.এম.আশিস মোমতাজ, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস, জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মন্ডল, জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ সাহাবুদ্দিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহীন্দ্র কুমার মন্ডল, জেলা সঞ্চয় অফিসার নজরুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন



