স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন, আমি চুয়াডাঙ্গায় আসার পর থেকেই শুনেছি এই বিদ্যালয়টি শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং একাডেমিক ফলাফল অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে জাতীয় পাঠক্রমে (ন্যাশনাল কারিকুলাম) শিক্ষার্থীদের দক্ষতা প্রশংসার যোগ্য। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম প্রতিদিনই বাড়ছে। আমি এ বিদ্যালয়ে একটি ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে দেয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে শিক্ষার্থীরা ই-বুক ও কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে
গতকাল বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিদ্যমান সমস্যাসমূহ উত্তর, সামগ্রিক শিক্ষাদানের মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বিকশিত করণের লক্ষ্যে পর্যালোচনা এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পুরস্কার ও অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ও অভিভাবক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তির সময়। শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। অনলাইনে অসংখ্য ভালো শিক্ষকের লেকচার পাওয়া যায়, যা শিক্ষার গভীরতা বাড়াতে সাহায্য করে। তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা ছাড়া আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, এই বিদ্যালয়টি আমার বাসভবনের পাশে এবং অফিসের ঠিক বিপরীতে একটি নিরাপদ জোনে অবস্থিত। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ, যা একটি বড় সুবিধা। অভিভাবকরা আপনারা আজ অনেক মূল্যবান মতামত দিয়েছেন, যা বিদ্যালয় পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস.এম. ইস্রাফিল, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুজ্জামান, জেলা তথ্য অফিসার শিল্পী মণ্ডল, গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিকাইল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এ. এস. এম. আব্দুর রউফ শিবলু, আশফাকুর রহমান, মির্জা শহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলী নাসির এবং গীতা পাঠ করেন ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী পিন্টু অহনা। প্রধান অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পর বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন জাহিদুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ ও খাইরুল আলম। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন ৯ম শ্রেণির আফিয়া জয়নাব ও হাসিবা হোসাইন অহনা এবং ৭ম শ্রেণির জান্নাতুল ফেরদৌসী রোজী। পরে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ব্র্যান্ড আম্বাসেডরের পুরস্কার পান ৯ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী হাসিবা হোসাইন অহনা। এছাড়াও বিতর্ক, বই পড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানের শেষে জেলা প্রশাসক বিদ্যালয়ের নতুন ডিজিটাল ল্যাব উদ্বোধন করেন এবং ল্যাব ঘুরে দেখেন। ল্যাবে ৭টি কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছে।