জীবননগর মনোহরপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালামের চাষে সাফাল্য, প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন শ্রমিকের কর্মযোগ্য তার বাগানে

রকিবুজ্জামান, জীবননগর অফিস

জীবননগর উপজেলা মনোহরপুর গ্রামের আবুল কালাম ড্রাগন, পেয়ারা ও মাল্টা চাষ করে স্বালম্বী। জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গাকে জানায়, ভৌগলিক কারণে প্রতি বছর এখানকার কৃষি জমিতে খাদ্যজাত ফসল ধান, পাট, ভূট্টা, চাষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দেশী-বিদেশি ফলেরও আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। প্রথমে মাটির উরবর নিয়ে বিড়ম্বনায় ছিলাম। ড্রাগন, মাল্টা ও পেয়ারা ভালো ফলন হবে কি-না, তাই প্রথমে আমি চাষ শুরু করি ২বিঘা জমি দিয়ে। ভালো ফলন হওয়ায় পাশের জমি লিজ ও বন্দক নিয়ে ড্রাগন, মাল্টা ও পেয়ারা চাষ করি। বর্তমান আমার ২ বিঘা থেকে এখন ৫০ বিঘা জমিতে চাষ করি এতে অর্থ ব্যয় হয়েছে ৮০-৯০ লাখ টাকা। প্রতি বছর ফল বিক্রি করে আয় হয় ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে আমার বাগানে প্রতিদিন ৩০-৪০জন শ্রমিক কাজ করছে। এছাড়া ড্রাগন, পেয়ারা মাল্টা চারা বিক্রি করে আয় ২ লাখ টাকা। বর্তমান আমার ড্রাগন ২০ বিঘা, মল্টা ১৫ বিঘা, পেয়ারা ১৫ বিঘা জমিতে।

আবুল কালাম জানান, জীবননগর উপজেলা পেয়ারাতলা ফলের হাট হওয়ায় আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। আমাদের উৎপাদিত ফল নিয়ে যেতে হত ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় গিয়ে বেচা-কেনা করতে হত। বেশি খাজনা দিয়ও ফল অনেক সময় কমদামে বিক্রি করতে বাধ্য হতাম। পেয়ারাতলায় ফলের হাট হওয়াই আমাদের উৎপাদিত ফল এখন সরাসরি বিক্রি করছি বেপারীদের কাছে ও নগদ মূল্যে ফল বিক্রি করতে পারছি এবং লাভও হচ্ছে।

বাগানের শ্রামিক কামাল হোসেন বলেন, আমি আবুল কালামের বাগানে দীর্ঘ ২ বছর কাজ করছি। প্রতিদিন সকাল ৭ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাজ করি। প্রতিদিনের হাজিরা প্রতিদিন পেয়ে থাকি। প্রতিদিন হাজিরা পাই ৪০০-৫০০টাকা। বাগানে কাজ করায় আমার পরিবারের ৫জন সদস্য নিয়ে ভালো আছি।

সজীব হোসেন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, আমি এসএসসি পাশ করে অর্থ না থাকায় লেখা-পড়া করতে পারি নাই। তখন আমি বেকার হয়ে হতাশ হয়ে পড়ি। এমন অবস্থায় আবুল কালামের বাগানে কাজ নেই। এখন আমি প্রতিদিন কাজ পাওয়াই প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা আয় হয়। বেকারত্ব দূর হয়েছে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভালো আছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *