চুয়াডাঙ্গায় সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার

চুয়াডাঙ্গায় জেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মোহাম্মদ প্রশাসক জহিরুল ইসলাম। সভায় গত জুন মাসের সার বীজ মনিটরিং এর কার্যবিবরণী পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: মাসুদুর রহমান সরকার।

তিনি বলেন, জেলার বর্তমান সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, জুলাই মাসের ইউরিয়া সারের বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৭ শত ১৩ মেট্রিক টন, উত্তোলিত সারের পরিমাণ ৯ শত ৬০ মেট্রিক টন এবং বর্তমান মজুদ রয়েছে ২ হাজার ৫ শত ৯৪ মেট্রিক টন। জুন মাসের টিএসপি সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ২ শত ৮৯ মেট্রিক টন এবং বর্তমান মজুদ রয়েছে ৪ শত ১৩ মেট্রিক টন। ডিএপি সারের বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১ শত ৮৪ মেট্রিক টন বর্তমানে মজুদ রয়েছে ৮ শত ৬১ মেট্রিক টন। জুন মাসের এমওপি সারের বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৫৫ মেট্রিক টন এবং অনুত্তোলিত সারের পরিমাণ ছিল ২ শত ১৭ মেট্রিক টন, বর্তমানে মোট মজুদ রয়েছে ১ হাজার ২ শত ৯৮ মেট্রিক টন।

তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে কোন ডিলার কর্তৃক সার বিক্রি করা যাবে না। কৃষকদের ভর্তুকিমুলক সার বিপণনে সবসময় মনিটরিং করছে চুয়াডাঙ্গা জেলা উপজেলার কৃষি অফিসাররা। কৃষকদের সুবিধার্থে বাজার পর্যালোচনায় মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। সারের মনিটরিং এর ক্ষেত্রে তথ্য দিয়ে সকলকে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, থিউরিটিক্যালি সারের কোন অভাব নেই এখন প্র্যাকটিক্যালি পর্যালোচনা করে দেখতে হবে সারের মজুদ কেমন আছে। ডিলাররা সার উত্তোলন করেছে কিনা এবং উত্তোলিত সার কোথায় কোথায় বিক্রি করছে অথবা গুদামজাত করছে কিনা সব বিষয় মনিটরিং করার প্রয়োজন। কোন কৃষক যদি সার না পায় এবং যদি অভিযোগ করে তাহলে সে বিষয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক মনিটরিং করে এর সুরাহা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কোন তামাক চাষী ভর্তুকিমূলক সার পাবেনা। চুয়াডাঙ্গায় দুইটি তামাক কোম্পানি আছে এই কোম্পানিগুলোর সাথে মিটিং করে তামাক চাষিদের তালিকা করতে হবে। তামাক কোম্পানি দ্বারা সার বিতরণ করতে হবে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গা জেলা মৎস্য অফিসার কর্তৃক সারের ডিমান্ড হতে হবে। গুদামে সার থাকাকালীন কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যাতে কেউ দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সে বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।

উক্ত সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মো: নুরুল ইসলাম, কৃষি বিপণন  কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার আনিসুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক ( ইনচার্জ কন্ট্রোল) মোহাম্মদ সামসুজ্জোহা, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি রাজিব হাসান কচি, সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ প্রমুখ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *