কেরুর সংস্থাপন শাখার বড় বাবুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ! ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার
সরকারি অফিসের গোপন তথ্য পাচার আদান প্রদান ও গোপনে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে কেরুর সংস্থাপন শাখার বড় বাবু কায়েস আব্দুল্লাহ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন কেরুর ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তার দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে তার সহকারি রমজান আলিকে দ্রুত দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেরুর কারখানা ব্যবস্থাপককে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানায়, কেরুর গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ হলো সংস্থাপন শাখা। যেখানে কেরুর যাবতীয় শ্রমিক কর্মচারি কর্মকর্তাদের চাকরির হিসাব, মেয়াদ অবসর ও অবসরের টাকা পয়সার হিসাবসহ অন্যান্য বিষয়গুলো সংরক্ষণ করা হয়। এই শাখার প্রধান সহকারির দায়িত্বে রয়েছেন কায়েস আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে চিনিকলের যাবতীয় লাভ লোকসানের হিসাব ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষিত থাকে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ন নথিতে কায়েস আব্দুল্লাহ দু’দিন আগে স্বাক্ষর করে ঘুষ গ্রহণ করার অভিযোগ উঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে কেরুর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ঐ নথি তলব করে এবং প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর তাকে জরুরীভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তার স্থলে রমজান আলিকে স্থলাভিশিক্ত করে একটি কৈফিয়ত চিঠি তলব করা হয়। ঐ নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়ে আর কারো যোগসাজস বা সম্পৃক্তা আছে কি-না দেখতে বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের জন্য কেরুর কারখানা ব্যাবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম টুটুলকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ- গত ২০১৫/১৬ মৌসুমে কায়েস আব্দুল্লাহ কেরুর বেগমপুর কৃষি খামারে কেরানি থাকাকালে প্রায় ৬০ বস্তা বায়োসার চুরির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্থ হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে তখন কেরুর সাবেক এ ডি এম শেখ সাহাব উদ্দিনকে প্রধান করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ঐ কমিটি তদন্তের মাধ্যমে উথলীর একটি গোডাউন থেকে চুরি যাওয়া কিছু সার উদ্ধার করা হয়েছিল, বাকি আর্থিক দণ্ডে দণ্ডিত পূর্বক চাকরির শর্তদিয়ে পুনরায় বহাল হয়েছিল। কায়েস আব্দুল্লাহের সাথে ফোনে একাধীকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *