দর্শনা অফিস
কবি গুরু রবি ঠাকুরের আষাঢ় কবিতার সুরে সুর মিলিয়ে বলতেই হচ্ছে” নীল নবঘনে আষাঢ় গগণে তিল ঠাঁই আর নাহিরে, ওগো আজ তোরা জাসনে ঘরের বাহিরে। আসলেই তাই সকালের দিকে কিছুটা আবছা আবছা সুর্যের আলো থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে উত্তর পুর্বাকাশে আষাঢ়ে কালো মেঘের ঘনঘটায় যেন কাজলা কালো রাক্ষুসে রুপ ধারন করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অঝর ধারার বিরতিহীন লাগাতার বৃষ্টি। কৃষি কাজের জন্য যে কৃষক মাঠে গিয়েছে, সেও বৃষ্টির পানিতে ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরেছে। ভ্যান রিকশাচালকসহ নিম্ন আয়ের কাজের মানুষ সকলেরই চরম দূভোগের মুখে পড়েছেন। চুয়াডাঙ্গাসহ ৪ উপজেলায় সকাল ৯ টা ২ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। দুপরে কিছুক্ষনের বিরতী দিয়ে আবার চলে বৃষ্টি। এতে সারাদিনে মানুষ ঘরবন্দি ছিলো। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হননি
তবে এলাকার মুরব্বীরা জানালেন, জৈষ্ঠ্যের বৃষ্টি কারো জন্য অভিশাপ আবার কারো জন্য আশির্বাদ হয়ে এসেছে। যেমন প্রধান অর্থকরি ফসল আখ পাট এর জন্য আশির্বাদ। বৃষ্টির সাথে হালকা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ায় এ অঞ্চলের বেশ কিছু জমির কলাগাছ পেঁপেগাছ ভেঙ্গে পড়েছে। তবে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের জন্য খুবই দুর্বিসহ অবস্থা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ শুক্রবার ও আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪১.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিলো ১৫/২০ কিলোমিটার।
চুয়াডাঙ্গায় অঝর ধারার বৃষ্টিতে জনজীবন স্থবির সারাদিনে ৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
