জীবননগর অফিস
জীবননগর হাসপাতালে চোরচক্র হানা দিয়ে ৯টি আলমারী ভেঙ্গে নথিপত্র তছনছের দুদিন পার হলেও হয়নি থানায় অভিযোগ। এখনও চলছে হাসপাতালের সিসি টিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ! নৈশ প্রহরীদের বিরুদ্ধে ডিউটি না করাসহ উঠেছে নানা অভিযোগ। ইতিপূর্বেও হাসপাতালে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র থেকেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এবারও কি চোর চক্র থেকে যাবে অধরা।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দু:সাহসিক চুরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে চোরচক্র। গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের দুটি কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙে দুর্বৃত্তরা এই চুরির চেষ্টা চালায়। ভাঙ্গা হয়েছে অফিসের ৯টি স্ট্রীল আলমারী। করেছে নথিপত্র তছনছ। সংবাদ পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হাসপাতালের জন্য তিন জন নাইট গার্ড রয়েছে। আব্দুস সালাস, মফিজুল ও বিদ্যুত। আব্দুস সালাম হচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মিত কর্মচারী। অপর দুজন আউট সোর্সিং থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত। নাইট গার্ড দিয়ে অন্য কাজ করানোর অভিযোগ রয়েছে। নাইট গার্ডেরা রাতে হাসপাতাল পাহারা না দিয়ে রাতে হাসপাতালে ঘুমিয়ে সময় কাটান।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রউফ এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকা অফিসের নথিপত্র আমি দেখার চেষ্টা করেছি। কোন নথি খোয়া গিয়েছে কিনা এখনও পর্যন্ত ঠিক করা সম্ভব হয়নি। তবে কোন নথি খোয়া গিয়েছে বলে আমার মনে হয়না।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মকবুল হাসান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, চোরেরা ভবনের পিছনের দিকের জানালার গ্রিল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। যেখান দিয়ে অফিসের ভিতর প্রবেশ করেছে সেখানে সিসি ক্যামেরা ছিলো না। মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে অফিসে এসে তারপর ব্যবস্থা নেবেন।
দুদিন পার হয়েছে চুরির ঘটনা এখনও হয়নি থানায় কোন মামলা। এবারও থেকে যাবে চোরেরা অধরা এমনটাই বলছেন হাসপাতাল এলাকার সাধারণ জনতা।
জীবননগর হাসপাতালের নাইট গার্ডের ঘুমিয়ে থাকার অভিযোগ, চোর চক্র ধরা ছোঁয়ার বাইরে



