জীবননগর অফিস
জীবননগরে বিভিন্ন সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তোরণ। নির্মাণের পর তোরণগুলো রাস্তার উপর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে মাসের পর মাস। তোরণের ফলে সড়কে প্রতিদিন ছোটবড় দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে। জীবননগর শহরের প্রধান ৪টি সড়ক। জীবননগর-কালীগঞ্জ, জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর-দত্তনগন ও জীবননগর-মাজদিয়া চেকপোস্ট সড়ক। সব সড়কগুলোই ব্যস্ততম সড়ক হিসেবে পরিচিত। ব্যস্ততম এ সব সড়কে কোন রকম অনুমতি ছাড়াই ইচ্ছে মতো তোরণ বা গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে নিরাপদ সড়কে প্রতিদিন ছোটবড় দূর্ঘটনা ঘটে চলেছে।
এলাকায় কোন দলের শীর্ষ কোন নেতা আসলে রাস্তার উপর নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। বিশিষ্ট কোন ব্যক্তির আগমন উপলক্ষে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। কোন দিবস উপলক্ষে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। ধর্মীয় সভা সমাবেশ উপলক্ষে নির্মাণ করা হচ্ছে তোরণ। নানা কারেণ সড়কের উপর যথাযথ কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয় তোরণ। প্রধান প্রদান সড়কের এজিং এর সাথে সড়কের হাডসোল্ড এর উপর গর্তখুড়ে বাঁশ পুতে নির্মাণ করা হয় এ সব তোরণ। যে উপলক্ষে তোরণ নির্মাণ করা হয় দিন সময় পার হয়ে গেলে তোরণ থেকে ব্যানার সরিয়ে ফেলা হয়, থেকে যায় তোরণের কাঠামো। শহরের কাজী টাওয়ারের সামনে বাঁকা মাদ্রাসার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল উপলক্ষে নির্মাণ করা হয় তোরণ। তাফসিরুল কোরআন মাহফিল হয়েছে গত ৮ ডিসেম্বর এখনও ব্যানারসহ তোরণটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর সংসদ সদস্য প্রার্থীদেও পক্ষ থেকে নির্মাণ করা তোরণ থেকে ব্যানার সরিয়ে নিলেও তোরণ গুলোর কাঠামো ঝুঁকি পূর্ণ অবস্থায় রাস্তার উপর তাদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। তোরণ নির্মাণ শুধু জীবননগর শহরের সড়কেই সীমাবদ্ধ নেই। উপজেলার বিভিন্ন সড়কেই এমন ভাবে তোরণ নির্মাণ করে নিরাপদ সড়কের চলাচল ঝুঁকি করা হয়েছে। সড়ক ব্যবহারকারীদের দাবি সড়ক থেকে এ সব তোরণ দ্রুত অপসারণের।
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমীনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক আজকের চুয়াডাঙ্গাকে বলেন, সড়কে চলাচল নিরাপদ করতে এবং ঝুঁকি পূর্ণ তোরণ সড়ক থেকে অপসারন করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জীবননগরে বিভিন্ন সড়কে অনুমতি ছাড়াই নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ! রয়েছে মাসের পর মাস, সড়কে বাড়ছে ঝুঁকি দেখার কেউ নেই



