তারিকুর রহমান, জীবননগর
জীবননগরে গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। এর ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসা শীতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে তারা ছুটছেন ফুটপাত ও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। ফলে বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে গরম কাপড়, বিশেষ করে পুরাতন পোশাকের বেচাকেনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড চত্বর ও শাহীন ক্লাবের পেছনে ফুটপাতে পুরাতন পোশাকের দোকানগুলোতে বিক্রির ধুম পড়েছে। জ্যাকেট, সোয়েটার, ক্যাপ, মোজা সহ নানা ধরনের শীতবস্ত্র বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। স্বল্প আয়ের মানুষ কম দামে শীতের পোশাক কিনতে এসব দোকানে ভিড় করছেন। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাক।
ফুটপাত থেকে শীতের কাপড় কিনতে আসা হায়দার আলী বলেন, হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনই এখানে পোশাক কিনতে আসেন। স্বল্প আয়ের মানুষ সাধ ও সাধ্যের মধ্যে পোশাক পাচ্ছেন বলেই কেনাকাটা বেশি হচ্ছে। আমিও নিজের এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য কয়েকটি পোশাক কিনেছি।
কাপড় বিক্রেতা নাইম জানান, সামনে শীত আরও বাড়বে এমন আশায় বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের শীতের পোশাক সংগ্রহ করে রেখেছেন তারা। তিনি বলেন, আমাদের দোকানে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের পোশাক আছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বেচাকেনা হচ্ছে। শীত অনেকের কষ্টের কারণ হলেও আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এটি আশীর্বাদ। কারণ ধার করে ব্যবসা শুরু করেছি।
পুরাতন পোশাক কিনতে আসা ভ্যানচালক সালাম বলেন, প্রচণ্ড শীত পড়েছে। নতুন পোশাক কেনার সামর্থ্য নেই, তাই পুরাতন পোশাক কিনছি। ৫০০ টাকার মধ্যেই দুই ছেলের জন্য পোশাক হয়ে গেছে।
আরেক ক্রেতা সালাম মিয়া বলেন, আমি একটি ছোট এনজিওতে চাকরি করি। নতুন পোশাক কেনার সক্ষমতা নেই। পুরাতন পোশাকের দোকানে এসে সাধ্যের মধ্যে শীতের পোশাক পাচ্ছি, যদিও দাম কিছুটা বেশি।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগামী দিনে জীবননগরে পুরাতন পোশাকের বাজার আরও চাঙা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
জীবননগরে শীতের তীব্রতায় বেড়েছে পুরাতন পোশাকের চাহিদা



