স্টাফ রিপোর্টার
চুয়াডাঙ্গা জেলা একটি জীববৈচিত্র সম্ভার জেলা। এখানে অনেক বন্যপ্রাণি আছে যা বন্যপ্রাণি আইনে সংরক্ষিত প্রাণি। এই বন্যপ্রাণিকুলকে টিকিয়ে রাখতে লড়াই করে যাচ্ছে পৃথিবীর অনেক সরকারি বেসরকারি সংস্থা। আমাদের চুয়াডাঙ্গা জেলার মানবতার জন্য সংগঠন তেমনি একটি পরিবেশ যোদ্ধার দল। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ০৬টি পাতি সরালির সাবক প্রকৃতিতে তথা তাদের মায়ের কাছে পৌছে দিল মানবতার জন্য সংগঠনের সদস্যরা
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনের কাছে খবর আসে তিতুদহ ইউনিয়ানের গিরিশনগর বাজার সংলগ্ন একটি খেজুর গাছের নিচে হতে কয়েকজন যুবক ও শিশুরা ৭টি বাচ্চা সহ একট মা পাতি সরালি ধরে। এর মধ্যে একজন মা ও একটি সাবক ছেড়ে দেয়।পরবর্তীতে সংগঠনের সদস্যরা সেই যুবক ও শিশুর বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং বন্যপ্রাণি আইন ও প্রাণিকুলের তাৎপর্য তুলে ধরলে তারা তা সংগঠনের নিকট হস্থান্তর করে।সাবকগুলো নুরুল্লাপুর মাঠের ইদ্রিস এর পুকুরে মুক্ত করা হয়।
এই বিষয়ে মানবতার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও বড় সলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের প্রাণিবিদ্যার প্রভাষক আহসান হাবীব শিপলু বলেন পাতি সরালি বাংলাদেশ আইন একটি সংরক্ষিত প্রাণী। এটি দেখতে বাদামি রঙের হাসের মতো।আমরা আজ সার্থক। কারন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং ছিল সাবকগুলো উদ্ধারের পাশাপাশি তার মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়া।কারণ তারা ছিল সদ্য ফোটা বাচ্চা। তাদের যদি আমরা যেকোনো জলাশয়ে ফেলে রাখতাম তাহলে তারা অন্য প্রাণী দ্বারা ভক্ষণ বা মারা পড়ে যেত। আমরা দীর্ঘ ৩ ঘন্টা বিভিন্ন পুকুর ও নিম্ন জলাশয় পর্যবেক্ষণ করে সাবক গুলোর মায়ের কাছে পৌছে দিতে সক্ষম হয়েছি।
সংগঠনের সম্পাদক শাহিন সরকার বলেন প্রকৃর অলংকার গুলো এভাবেই তার নিজ স্থানে থাকুক এটাই আমাদের চাওয়া। মানুষ আজ নিজের কর্মফলে হারিয়ে ফেলছে অন্য প্রাণির আবাসস্থল তথা অস্তিত্ব। আসুন আমরা প্রকৃতির প্রতিটি অলংকারকে আমরা বাচিয়ে রাখার চেষ্টা করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আব্দুল মান্নান, লাবু রহমান, মাহফুজ ও আরো অনেকে। সর্বশেষ শিশু কিশোর দের মাঝে বন্যপ্রাণি সংরক্ষনের সচেতনতা বার্তা প্রদান করা হয়।
সংরক্ষিত বন্যপ্রাণিকে প্রকৃতিতে মায়ের কাছে পৌঁছে দিল মানবতার জন্য সংগঠন
