স্টাফ রিপোর্টার
পবিত্র ঈদুল আজহা সমানে রেখে জমতে শুরু করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার ৫টি পশু হাট। সপ্তাহে ১দিন করে এ পশুহাটে গুরু-ছাগল কেনাবেচা হয়। পশুহাটগুলো হলো আলমডাঙ্গা পশু হাট। প্রতি সপ্তাহে বুধবার এ হাটটি বসে। ডুগডুগি পশু হাট সোমবার বসে। শিয়ালমারি পশুহাট বৃহস্পতিবার বসে, গোকুলখালি পশুহাট শুক্রবার ও ৯ মাইল ভূলটিয়া পশু হাট বসে শনিবার। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও বেশি কেনাবেচা হয় আলমডাঙ্গা পশু হাটে। সাপ্তাহিক এই পশুহাটগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। কুরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন হাটে। গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহা

গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদরের ৯ মাইল ভূলটিয়া পশু হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও ছাগল পালনকারীরা তাদের পশু নিয়ে হাটে আসছেন। গরু-ছাগলের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আজ হাটে ক্রেতা কম। দুর থেকে ব্যাপারীও কম এসেছে। হাট মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, হাটে বেচাকেনা কিছুটা কম। আগামী হাটে গরু-ছাগল বেশি উঠবে, বেচাকেনা বেশি হবে বলে আশা করছি। বর্তমানে ৩ মন মাংস হবে এমন গরু ৯০/৯৫ হাজার টাকায় বেচা কেনা হচ্ছে। এর থেকে বড় অর্থাৎ ৬/৭ মন ওজনের গরু কিনলে দাম কিছুটা কম হবে। কোরবানির আগে ৯ মাইলে আগামী শনিবার আর মাত্র ১টি হাট বসবে।
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে জেলার দামুড়হুদার ডুগডুগি পশুহাট। সাপ্তাহিক এ পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট। এদিকে সঠিক দাম না পাওয়ায় খামারীদের মুখে কোন হাসি নেই। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি।
পশুহাটে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো। এদিকে পশুহাটে আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সুপার হাটমালিক ও খামারিদের নিয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করেছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলার ৪ উপজেলায় কোরবানি উপযোগী গরু পালন করা হয়েছে ৫১ হাজার, ছাগল পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ও ভেড়া পালন করা হয়েছে ৩ হাজার ৯শ। জেলায় সব মিলিয়ে কোরবানির জন্য গরু, ছাগল ও ভেড়া প্রয়োজন ১ লাখ ২৪ হাজার। উদ্বৃক্ত পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো যাবে। তবে গরু খুব বেশি উদ্বৃক্ত থাকবে না।