চুয়াডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা ও মারধরের মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিককে জামিন দিয়েছেন আদালত। পুলিশের চাওয়া ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট লস্কর সোহেল রানা তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর আমলি আদালতে রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটার অ্যাড. বেলাল হোসেন।
চুয়াডাঙ্গা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালানোর সময় ২৩ ডিসেম্বর রাতে নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্য মারামারি এবং প্রচারণায় বাধার ঘটনা ঘটে। স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার পক্ষে এ ঘটনায় আব্দুল মালেক নামের একব্যাক্তি ২১ জনের নাম উল্লেখসহ ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকসহ পাঁজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন চারজন জামিনে মুক্ত হন। কিন্তু সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে তার রিমান্ড ও জামিন শুনানি হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মামুন ৭ দিনের পুলিশি রিমান্ডের আবেদন করেন। সদর আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট লস্কর সোহেল রানা রিমান্ড নামঞ্জুর করে ১০ হাজার টাকা বন্ডে তাকে জামিন দেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিউকিউটার অ্যাড. বেলাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান মানিকের শুনানি হয়। শুনানিতে পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এবং জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিকে, জামিন পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন। এসময় নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে গাড়িবহরযোগে জেল গেট থেকে নিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :