শীতকালে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য অনেকেই নানান ক্রিম এবং কসমেটিকস ব্যাবহার করেন। মধুর গুণাগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা। মধুর ব্যবহার শুধু সর্দি-কাশি কমাতেই সাহায্য করে না, দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতেও সাহায্য করে।
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি-১ , ভিটামিন বি-২ , ভিটামিন বি-৩, ভিটামিন বি-৫, ভিটামিন বি-৬। এছাড়াও এতে রয়েছে জিঙ্ক, কপার ও আয়োডিনের মতো উপাদান। মধুর নানা ধরনের ঔষধি গুণ সর্দি-কাশির মত রোগ প্রতিরোধ করে, স্মৃতি শক্তি বাড়ায় এবং ক্ষত স্থান নিরাময়েও খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়।
ত্বকের শুষ্কতা এবং ডিহাইড্রেশন দূর করতে মধু খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, মধুতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখা দূর করতে সক্ষম। অর্থাৎ রূপচর্চার ক্ষেত্রেও মধুর যথেষ্ট গুণ রয়েছে।
মধু ব্যবহার করে শীতের এই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শীতকালের শুষ্ক এবং রুক্ষ আবহাওয়ার প্রভাবের জন্য আমাদের ত্বক শুষ্ক এবং নিস্তেজ হয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য মুখে মধুর মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে বেশি উপকারী। এতে ত্বক নরম, কোমল এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
বাড়িতে খুব সহজেই আপনিও মধুর মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এর জন্য দুই টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ পুষ্টিকর ক্যারিয়ার তেল, যেমন জোজোবা বা বাদাম তেল মেশাতে হবে। তারপর মিশ্রণটির সঙ্গে এক চা চামচ সাধারণ দই যোগ করুন। এরপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে নিন এবং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এই উপকরণটি ত্বক নরম, মসৃণ এবং পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
এএইচ
আপনার মতামত লিখুন :