জীবননগর অফিস
শৈত প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে। ঘন কুয়াশার সাদা চাদরে ঢাকা জীবননগর। দুদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসের দাপট। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। রাত আর দিনের তাপমাত্রা থাকছে প্রায়ই একই। কনকনে এই শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে শীতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ এবং ডায়রিয়া। শিশু আর বৃদ্ধরা শীতে জবুথবু অবস্থা। শীতে শীতার্তদের কষ্ট কমাতে রাতে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী ও এতিমখানা যেয়ে কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমীন। বুধবার দিবাগত রাতে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বাঁকা ইসলামী মাদ্রাসা এবং কাশীপুর মাঠপাড়া মাদ্রাসায় এতিমদের মধ্যে এই কম্বল বিতরণ করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমীনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রাহমান সুজন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুর জব্বার। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমীন বলেন, চুয়াডাঙ্গায় শীতের সময় অতিরিক্ত শীত এবং গরমের সময় অতিরিক্ত গরম থাকে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে যে কম্বল বরাদ্দ পেয়েছেন ইতিমধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ছিন্নমূল, গরিব ও অসহায় শীতার্ত মানুষদের কম্বল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে আজ জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী, বাঁকা ইসলামী মাদ্রাসা এবং কাশীপুর মাঠপাড়া মাদ্রাসায় এতিমদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
জীবননগর হাসপাতাল ও এতিমখানায় ইউএনও’র কম্বল বিতরণ



