চুয়াডাঙ্গায় একদফা দাবিতে সপ্তম দফায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে আগামী মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৬টা পর্যন্ত। রাজপথ, রেল ও নৌপথে এ অবরোধ চলবে।
এদিকে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কম হলেও অধিকাংশ গণপরিবহন চলাচল করছে সড়কে। চুয়াডাঙ্গা-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। সীমিত সংখ্যক হলেও দূরপাল্লার বাসও চলছে। অন্য সময়ের মতো স্বাভাবিক না হলেও সড়কে সব ধরণের যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, টার্মিনাল, একাডেমি মোড়, কোর্ট মোড়, দৌলতদিয়াড় বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। হাসাদাহ থেকে ছেড়ে আসা লোকাল বাসগুলো ছিল যাত্রীভর্তি। সকাল থেকে গণপরিবহনের সংখ্যা বেশি থাকায় জেলা সদরগামী মানুষদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়নি।
এ বিষয়ে বাসের হেলপার আতিক মিয়া বলেন, প্রথম দিকের অবরোধে তেমন গাড়ি থাকতো না। এখন তো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকই অনেকটা। সকাল থেকে এটাই প্রথম ট্রিপ। কিন্তু যাত্রী তেমন নেই। অবরোধে আমরা গাড়ি বের করলেও ভয়ে যাত্রী বের হয় না। যাত্রী না থাকলে তো আমাদের গাড়ি চালানো লোকসান।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিল্পী আক্তার বলেন, রাস্তায় বের হলেই ঝুঁকি। তারপরও কাজের জন্য বের হতে হয়। গাড়ি পাচ্ছি এখন ঠিকভাবেই। কিন্তু বাসে উঠলে সারাক্ষণ ভয় কাজ করে, কখন কী হয়! তবে প্রথম দিকের অবরোধে তেমন গাড়ি থাকতো না। এখন তো গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকই অনেকটা।
উল্লেখ্য, রোববার ভোর ৬টা থেকে দেশব্যাপী আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু করছে বিএনপি। আগামী মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হবে এ কর্মসূচি। এ নিয়ে সাত দফা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
হামলা ও সংঘর্ষের মধ্যে গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ডের প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দিয়েছিল বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে মাঝে মধ্যে বিরতি দিয়ে ষষ্ঠ দফা সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি।
এছাড়া ১৯ ও ২০ নভেম্বর ৪৮ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি পালন করে দলটি। এবার দলটি ডেকেছে সপ্তম দফার অবরোধ। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :