বিএনপি-জামায়াত চক্রের ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার’ প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কুমারী ইউনিয়ন কৃষক লীগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) বিকেল চারটায় উপজলার কুমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। দেশের মানুষ অভাবে নেই। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে হাজারো মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত উন্নয়ন চায় না, কখনো তারা চাইওনি। দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে, ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাসী শুরু করেছে।
যখন নির্বাচন আসে তখন তাদের জ্বালা ধরে যায়। বিএনপি-জামায়াত আগামী নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তবে সরকার মেগাপ্রকল্পসহ দেশের উন্নয়নের যে ভূমিকা রাখছে, তা নিরুৎসাহ করতে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
দীলিপ কুমার আরো বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত-বিএনপি দেশের মানুষের জান-মাল ধ্বংসের পথে নেমেছে। সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মৃত্যুর মুখে ফেলছে। দোকান ঘর ও যানবাহনে আগুন লাগিয়ে মানুষ মারছে। এটা কেমন রাজনীতি। পূর্বের ইতিহাস অনুযায়ী তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতেই অভ্যস্ত।
বাংলাদেশে কৃষিখাতে গত ১৫ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সরকার ভর্তূকির মাধ্যমে বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকাও রেখেছেন। চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্র সহ শিক্ষা খ্যাতেও বহুপরিবর্তন এনেছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বড় বড় মেগাপ্রকল্প গুলো এখন দৃশ্যমান।
অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়াদ্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু মাস্টার, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, হাসিবুল ইসলাম, কমল কুমার বিশ্বাস ও জনি মেম্বার।
শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপস্থাপনা করেন আব্দুল মালেক।
আপনার মতামত লিখুন :