ভাই ও ভাবীর হাতাহাতি ঠেকাতে গিয়ে পিতা আশরাফুল মন্ডলের লাঠির আঘাতে ছেলে জিহাদ হোসেন (১৮) নিহত হবার অভিযোগ উঠেছে। নিহত জিহাদ ঝিনাইদহ পৌর এলাকায় শিকারপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের আশরাফুল মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন। এ খবর নিশ্চিত করেছেন এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাউদ্দিন জোয়ারদার লাড্ডু।
তিনি জানান, ১৫ দিন আগে আশরাফুল মন্ডলের বড় ছেলে সজীব মন্ডল ও তার স্ত্রী শারমিন খাতুন পারিবারিক বিষয় নিয়ে হাতাহাতিতে জড়ায়। এসময় সেজো ছেলে জিহাদ হোসেন এবং পিতা আশরাফুল মন্ডল তাদেও ঠেকাতে যায়। তারা না থামলে একপর্যায়ে আশরাফুল বাঁশের একটি লাঠি দিয়ে বড় ছেলেকে মারতে গেলে তা লক্ষভ্রষ্ট হয়ে জিহাদের মাথায় লাগে। তখন তিনি মাটিতে পড়ে যান।
পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করান। চিকিৎসার পর তিনি বাড়ি ফিরে এসে মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে সদর হাসপাতাল হয়ে ঢাকা নেয়ার পথে ভোররাতে জিহাদের মৃত্যু হয়।
নিহত জিহাদের মা হীরা বেগম ও স্ত্রী সোহানা খাতুন বলেন, ‘হাতাহাতির সময় ধাক্কা লেগে পাশের দেয়ালে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন জিহাদ। আমরা কোনো মামলায় জড়াবো না।’
নিহত জিহাদের বড় চাচা শরিফুল মন্ডল বলেন, ভাই-ভাবী ও পিতার হাতাহাতির মধ্যে একটা বাঁশের লাঠির আঘাত মাথায় লেগে বড় ক্ষত হয়েছিল জিহাদের। ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে কারা জড়িত, বা কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :