চুয়াডাঙ্গায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ঢিলেঢালা অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন শেষ হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি বা সমমনা বিরোধী দলগুলোর কর্মীরা মাঠে না থাকলেও শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করে ছিলেন। জেলার কোনো জায়গা থেকে পিকেটিং বা ভাঙচুরের খবর পাওয়া যায়নি। চুয়াডাঙ্গার আন্তঃজেলা পাঁচটি রুটের মধ্যে দুটি রুট বাদে দূরপাল্লা ও লোকাল বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী সাধারণেরা।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালের দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে হাসাদাহ ও চুয়াডাঙ্গা থেকে হাটবোয়ালিয়া এই দুটি রুটে আঞ্চলিক বাস চলাচল করেছে। চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর, খুলনাসহ দূরপাল্লার পথে কোনো বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ছেড়ে যায়নি। সরকারি দপ্তরগুলো খুললেও সেখানে সেবাগ্রহীতাদের উপস্থিতি কম ছিল। বাকি রুটগুলোসহ দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ।
ইজিবাইক ও পাখিভ্যানসহ শহরের যান চলাচল মোটামুটি স্বাভাবিক দেখা গেছে। চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার অনান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। চুয়াডাঙ্গা শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোড, কোর্ট রোড, বড় বাজার, কলেজ রোডসহ শহরের সবকটি সড়কেই স্বাভাবিক দিনের মতো মানুষের চলাচল ছিলো স্বাভাবিক। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পদযাত্রায় করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দিন মুক্তা বলেন, সম্ভাব্য ঝামেলার আশঙ্কায় পরিবহন শ্রমিকেরা গাড়ি চালাতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। পরিবহন সংকটও আছে। এ কারণে দূরপাল্লার বাস ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। আজকে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। চুয়াডাঙ্গার সব রুটে গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সবরুটে আমাদের গাড়ি না থাকায় এটা বলা মুশকিল তারা সবগুলো রুট চালু রাখবে কি না।
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহামুদ হাসান খান বাবু ও সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ এক যৌথ বিবৃতিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁরা গ্রেপ্তার বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস বলেন, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দৃশ্যমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। যখন দেশের উন্নয়ন হয়, তখনি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করে। আবার দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আমরা দলীয় কর্মীরা সচেতন আছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :