ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামে শামিম হোসেন ও মন্টু মিয়া নামে দুই ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় শামসুল ইসলাম নামে আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে চারটার দিকে তারা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের তরিকুল ইসলাম আকালে নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালাতে গেলে তাদেরকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহত শামিম হোসেন বাঘাডাঙ্গা গ্রামের ছামসুল ইসলামের ও মন্টু মিয়া একই গ্রামের নয়ন মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনার পর থেকে হামলাকারী তরিকুল ইসলাম আকালে পলাতক রয়েছে।
গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তরিকুল ইসলাম আকালে ও নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার হামলা পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। বুধবার বিকালে বিরোধের জের ধরে শামুসল ইসলাম ও তার ছেলে শামিম এবং মন্টু মিয়া দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তরিকুল ইসলাম আকালের বাড়িতে হামলা চালাতে আসে।
এ সময় আকালে তার বাড়ির ছাদ থেকে গুলি চালায়। এতে শামিম ও মন্টু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। মন্টুকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মুস্তাফিজুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, শামিম ও তার পিতা আহত শামসুল ইসলামকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মামুন গুলিবিদ্ধ শামিম হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদ বিন হেদায়েত জানান, হাসপাতালে আনার আগেই শামিম মারা গেছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবাইদুল ইসলাম জানান, গুলিতে শামিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আর মন্টু জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।
এ বিষয়ে মহেশপুরের ভৈরবা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল মান্নান জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে জানতে পারেন দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের জীবননগর ও মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হামলাকারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে এলাকায় তল্লাশী চালাচ্ছে। এছাড়া বিজিবি সদস্যরাও সীমান্তে অভিযান শুরু করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :