মেহেরপুর অফিস: ২০১৮ সালে মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপি অফিসে হামলার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী, অনলাইন জুয়াড়ি ও সুদ ব্যবসায়ীদেরকে অর্থ দিয়ে আওযামী লীগ নেতারা হামলা ও লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ মামলার এজাহারে।
মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জান খোকন, সাবেক পৌর মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলীসহ ৫০ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১৫০ জন আসামি রয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজয়ানুল হক ইমন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) মেহেরপুর দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গাংনী থানাকে এজাহারভুক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বলে বাদি সুত্রে জানা গেছে। সাবেক এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন এবং সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলীকে অনলাইন জুয়াড়ী ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেছেন, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর আসামিরা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মিছিল করে। পতিত শেখ হাসিনা সরকারের স্বেরাচারী একদলীয় নির্বাচন আয়োজনকালে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অংশ হিসেবে তারা এ মিছিল করে। এসময় তারা কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। কার্যালয়ে রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ৬টি টেবিল, গদি মোড়ানো চেয়ার ১০টি, প্লাস্টিক চেয়ার ১০০টি যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয় এবং কার্যালয়ের বৈদ্যুতিক মিটার ভাংচুর করে ক্ষতিসাধন করে। এসময় তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএপি চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ছবি ভাংচুর করে অবমাননা করে। বাদিসহ নেতাকর্মীরা তাদের হামলায় প্রাণ বাঁচাতে কার্যালয় ছেড়ে পালিয়ে যায়। তখন আসামিরা ত্রাস সৃষ্টির জন্য বিএনপি কার্যালয়ের সামনের সড়কে কয়েকটি বোমার বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় তারা গাংনী বাজারজুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালায় এবং ত্রাস সৃষ্টি করে উল্লাস করতে থাকে। মামলা করতে বিলম্ব হওয়ার কারণ হিসেবে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার দাপটকে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদি।