জীবননগরে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলি জমিতে পানি জমে গেছে। ফলে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন এ অঞ্চলের চাষীরা। গত বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীন বৃষ্টি হওয়ায় এ ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
জীবননগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে অনবরত বৃষ্টি হওয়ার কারণে আলু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে। শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর, বাঁকা ইউনিয়নের মিনাজপুরসহ ৮টি ইউনিয়নে তিন দিনের বৃষ্টিতে আলুর খেতে প্রচুর পানি জমে গেছে।
এছাড়া ফসলের মাঠগুলোতে সরিষা, বোরো ধানের বীজতলা, পেয়াজ, ভুট্টাসহ শীতকালীন সবজি খেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
হাসাদহ ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন জানান, ৫ বিঘা জমিতে তিনি আলুচাষ করেছেন। বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় জমিতে হাটু পানি বেধে থাকায় সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।
বাঁকা ইউনিয়নের কৃষক নিজাম হোসেন জানান, ‘চলতি বছরে ২ একর জমিতে আলু, পেয়াজ চাষাবাদ করেছি । সার-ওষুধের দাম বেশি হওয়ায় খরচ হয়েছে ব্যাপক। তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে ক্ষেতে পানি জমে গেছে।’ পেয়াজ বীজ ও আলু বীজ পচে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চাষাবাদ করেছি।’
সীমান্ত ইউনিয়নের গঙ্গাদাশপুর গ্রামের প্রান্তিক কৃষক রনি আহম্মেদ বলেন, ধান চাষের জন্য বীজতলা ছিল। তিন দিনের পানিতে বীজতলা পানির নিচে। পানি ছেকে দেওয়া হয়েছে। এখন কী যে হবে, সেটাই দেখার বিষয়। বীজতলা নষ্ট হলে চাষে লোকসান গুনতে হবে।’
জীবননগর উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা কৃষিবিদ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে হাসাদহ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি ককর্মকর্তা মো. শিমুল হোসেন জানান, ‘বৈদ্যানাথপুর ব্লকে ২১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় খেতে পানি জমে গেছে। আমরা র্সাবক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি।’
আপনার মতামত লিখুন :