নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া জমজ চার শিশুর মধ্যে একজন মারা গেছে। গত ২২ অক্টোবর জিনিয়া মারা যায়। আজ মঙ্গলবার জুমান-জুবায়ের-জুনিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন জিয়াউর-তহমিনা দম্পতি। খবর পেয়ে জমজ তিন সন্তানের জন্য আর্থিক সহায়তাসহ উপহার পাঠিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের পক্ষে জুমান-জুবায়ের-জুনিয়ার মা-বাবাকে আর্থিক সহায়তা, খাদ্য ও শুভেচ্ছা সামগ্রী প্রদান করেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা ও জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এসএম জাবীদ হাসান।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ’এসপি স্যারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাসহ তিন সন্তানের জন্য দুধ, জামা-কাপড় ও ফল উপহার দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান আব্দুল কাদের প্রধান বিকেলে জুমান-জুবায়ের-জুনিয়াকে ফল নিয়ে দেখতে যান। এসময় তাদের জন্য ৫ হাজার টাকা দেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ বলেন, তাদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার তাদের দেখতে যাব।
উল্লেখ্য, জীবননগরের উপজেলার সুটিয়া গ্রামের তহমিনা খাতুন নামের এক গৃহবধূ গত ৪ অক্টোবর একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেন। তাদের নাম রাখা হয়েছিল জুম্মান, জুবায়ের, জুনিয়া ও জিনিয়া। গত ২২ অক্টোবর (শনিবার) এদের মধ্যে অসুস্থতা জনিত কারণে মারা যায় জিনিয়া। আজ বুধবার সকালে জুমান-জুবায়ের-জুনিয়াকে নিয়ে নিজ গ্রাম জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামে ফেরেন তহমিনা খাতুন। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।
আপনার মতামত লিখুন :