চুয়াডাঙ্গায় যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম, ঢাকায় রেফার্ড


আজকের চুয়াডাঙ্গা ➤ নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ১২:৫৫ AM
চুয়াডাঙ্গায় যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম, ঢাকায় রেফার্ড

চুয়াডাঙ্গায় পারিবারিক কলহের জেরে শিহাব রাজ (২০) নামের এক যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেলগাছি ঈদগাহপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। পড়ে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়।

অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে শিহাবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার ইকবাল হোসেনের ছেলে ও বেলগাছি ঈদগাহপাড়ায় আইনদ্দীর জামাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিহাব বেলগাছি ঈদগাহপাড়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন। এসময় একই এলাকার নুরুর ছেলে নজুর সঙ্গে শিহাবের বিরোধের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নজু মোবাইলে ডাকলে কয়েকজন দ্রুত সেখানে এসেই শিহাবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় শিহাবকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

স্থানীয়রা আরও জানান, বছর দুয়েক আগে পাড়ার রাস্তায় দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালানোকে কেন্দ্র করে শিহাবের সঙ্গে নুরু মিয়াসহ এলাকার বেশ কয়েকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। ওই সময় একটি মারামারিও হয়েছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার শিহাবের শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে প্রতিবেশী নজুর বিরোধের সৃষ্টি হয়। এসময় হঠাৎ করেই সেখানে কয়েকজন এসে শিহাবকে কুপিয়ে জখম করে। এদিকে, ঘটনা সম্পর্কে জানতে নজুর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসেন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে স্থানীয়রা শিহাব নামের এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নেয়। তার মাথা, পিঠ, হাতেসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।’

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে পরিবারের সদস্যরা শিহাবকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ত্যাগ করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আজকের চুয়াডাঙ্গা এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আজকের চুয়াডাঙ্গা এর ফেইসবুক পেজ এ , আজকের চুয়াডাঙ্গা এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আজকের চুয়াডাঙ্গা ইউটিউব চ্যানেলে