চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পর প্রতিদিন কমছে তাপমাত্রা। বাড়ছে শীত। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আর সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ আর সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন বুধবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, আজ চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা সকাল ৯টায় ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্র। তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গায় আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আর কমবে না। হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। তবে
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র আকারের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় চুয়াডাঙ্গায় জনজীবন কিছুটা স্থির হয়ে গেছে। মানুষ কিছুটা দেরিতে উঠছে বিছানা থেকে। শীতের পোশাক কিনতে দোকান ও নিক্সন পট্রিতে (পুরনো পোশাকের দোকান) ভিড় বাড়ছে।
জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের কুলসুম বলেন, কয়েকদিনে শীত বেড়েছে। শীতের জন্য অতিরিক্ত পোষাক পড়েছি।
এখন উপজেলা আবু সাইদ বলেন, শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এজন্য গত বুধবার দুটি শীতের পোশাক কিনেছি।
এদিকে শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজতিত রোগ। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এই ঠান্ডা জনিত রোগে শিশুরায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ জন্য শীতে শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়ার তাগিদ দেন চিকিৎসকেরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ১৭ হাজার ৬৫০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা প্রশাসন তাদের বরাদ্দের কম্বল বিতরণের জন্য নিয়ে গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি , আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৬ হাজার ৫৬৫টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি ও জীবননগর উপজেলায় ৩ হাজার ৬৯৫টি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :