চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তিনি প্রায় কোটি টাকার সম্পদের মালিক। তাঁর বার্ষিক আয় ৬০ লাখ টাকা।
হলফনামায় তিনি সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখিয়েছেন এল.এল.এম। পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। এছাড়া তিনি দুটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকের দায়িত্ব পালন করছেন। দুটি শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকা, সারের ডিলার, কাগজ আমদানি, গাড়িসহ অন্যান্য ব্যবসা রয়েছে।
আবু হাশেম রেজা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গ্রামের মো. ছাব্দার আলীর ছেলে। ব্যবসা ও পত্রিকার সম্পাদক এবং প্রকাশক হওয়ায় ঢাকাতেই তার পরিবার নিয়ে বসবাস। নেই তেমন কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। মোটা অংকের আয় আসে ব্যবসা থেকে।
আয় করেন বছরে প্রায় ৬০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেও রয়েছেন দীর্ঘ দিন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদেও করেছেন দায়িত্ব পালন। আবু হাশেম রেজা আওয়ামী লীগ থেকেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর হলফনামা থেকে জানা যায়, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ঋণ নেননি। ঋণের দায় থেকে তিনি মুক্ত আছেন। ঢাকাতে অভিজাত এলাকায় স্থাবর সম্পদ রয়েছে তাঁর। চারটি ফ্লাট রয়েছে। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। অকৃষি জমি, কৃষি জমি, আবাসিক ও বাণিজ্যিক দালানসহ অন্য কোনো কিছুই নেই। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামেও স্থাবর সম্পদ নেই কোথাও।
তাঁর অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ১ কোটি ৬৬ লাখ ৭ হাজার ২১০ টাকার। স্ত্রীর আছে শুধু ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ২৬ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র রয়েছে ২৪ লাখ ৯০ হাজার ১৪৬ টাকার, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আসবাবপত্র ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, প্রাইভেটকার তিনটি ও দুটি ট্রাক, অন্যান্য ব্যবসায় বিনিয়োগ ১ কোটি ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৬৪ টাকা।
স্ত্রীর নগদ ও ব্যাংকে কোনো টাকা নেই। নেই আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী। শুধু আছে ১৫ ভরি ওজনের স্বর্ণের গহনা। নেই গাড়ি-বাড়িও। বাড়ি, এপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া পান বছরে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে সর্বোচ্চ আয় করেন বছরে ৫৪ লাখ ৭০ হাজার ৬১৩ টাকা। স্ত্রীর কোনো আয় নেই বছরে।
আবু হাশেম রেজার নামে একটি মামলা চলমান থাকলেও দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন। দামুড়হুদা আমলি আদালতে ১৪৩/৩২৩/৩৪১/৫০৬ ধারায় পেনাল কোডে মামলা চলমান রয়েছে। দামুড়হুদা ও দর্শনা আমলী আদালতের দুটি মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :