এমপি টগরের বেড়েছে আয়, স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুন সম্পদ


আজকের চুয়াডাঙ্গা ➤ নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ১১:২২ AM
এমপি টগরের বেড়েছে আয়, স্ত্রীর বেড়েছে ১০ গুন সম্পদ

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন। তিনি এই আসনের টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যখন তিনি প্রথম ভোট করেন, তখন তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০৫ টাকা।

সে সময় তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকা। বর্তমানে নগদ টাকাসহ তিনি ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৮ হাজার ২৩৪ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। তাঁর বর্তমান বার্ষিক আয় ১ কোটি ৫৭ লাখ ১৮ হাজার ৯১৪ টাকা।

১৫ বছরে ১০ গুন সম্পদ বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর। ২০০৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নগদ ২০ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৯ টাকাসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯ টাকার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ১১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ১২৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক। এছাড়া ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি না থাকলেও বর্তমানে ঢাকায় বহুতল পাঁচটি বাড়ি রয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় আলী আজগার টগর বার্ষিক আয়ের উৎস হিসেবে দেখিয়েছেন, কৃষিখাত থেকে ৪১ হাজার ২২৫ টাকা, বাড়ি-দোকান ভাড়া বাবদ ৩২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় ৯৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬১০ টাকা, শেয়ার/সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত বাবদ ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৩৯ টাকা, চাকরি থেকে আয় ২ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী-ভাতা ২৪ লাখ ২৩ হাজার ৮৬ টাকা ও গাড়ি বিক্রয়ের মূলধনী লাভ ৭৬ হাজার ৩৬৭ টাকা।

অস্থাবর সম্পদ হিসেবে রয়েছে নগদ ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৫৯০ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা আছে ৬৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৪ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ২৩ লাখ টাকা, সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা, বাস, ট্রাক, যানবাহন থেকে আয় ১ কোটি ২৫ লাখ ৬১ হাজার ১৪৭ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা, আসবাবপত্র ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ২১ লাখ ১১ হাজার ৩১৩ টাকা, একক মালিকানাধীন ব্যবসা ১ কোটি ৭৩ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৪ টাকা ও শিপিং পরিবহন ডিজাইন ফিস বাবদ ২০ লাখ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি ২৮৬.৭০ শতাংশ, যার মূল্য ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ টাকা, অকৃষি জমি ১ কোটি ১৫ লাখ ৮৬ হাজার ৫৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ১ কোটি ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৩ টাকা এবং ঢাকার সাভারে ৯ তলা দালান বাড়ি, যার মূল্য ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩০ টাকা।

তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে নগদ ৬৬ হাজার ১৩ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৫২ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্চের শেয়ার ৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র ১ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার ৮৬৪ টাকা, স্বর্ণের অলঙ্কার ৫ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী ৩ লাখ ২৫ হাজার ১০০ টাকা, আসবাবপত্র ২ লাখ ৩০ হাজার ৫০০ টাকা ও ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়াম ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৩২৬ টাকা।

এছাড়া তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ অকৃষি জমি ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮৫ টাকা, ঢাকায় ৭ তলা দালান ৭১ লাখ ১৬ হাজার ২০৮ টাকার, দর্শনায় ৪ তলা বাণিজ্যিক দালান ২ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ হাজার টাকা, দর্শনায় ৩ তলা দালান ১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৪৬৯ টাকা, ঢাকায় ফ্ল্যাট ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার টাকা এবং ঢাকায় ৭ তলা দালান, যার মূল্য ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৯০৮ টাকা।

২০০৮ সালে যখন তিনি নির্বাচন করেন, তখন তাঁর কৃষিখাত থেকে আয় ছিল ২৪ হাজার ৫৬০ টাকা, ব্যবসা থেকে ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সে সময় স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৯ কোটি ৯২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮৮ টাকার।

এরপর ২০১৪ সালে তাঁর বার্ষিক আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৮ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় হয় ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪০ টাকা। ওই সময় তাঁর হাতে নগদ ছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৭২০ টাকা, ব্যাংকে জমা ছিল ৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ টাকা। এই টাকাসহ তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫১ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৭৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৪ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ টাকা। টাকা। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে কোনো বাড়ি না থাকলেও বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর ঢাকায় বহুতল পাঁচটি বাড়ি রয়েছে। যার মূল্য ৯ কোটি ৩৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৮৫ টাকা।

আজকের চুয়াডাঙ্গা এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আজকের চুয়াডাঙ্গা এর ফেইসবুক পেজ এ , আজকের চুয়াডাঙ্গা এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আজকের চুয়াডাঙ্গা ইউটিউব চ্যানেলে