আলমডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে গৃহবধূর অবস্থান, বিতর্কে ভুসি মাল ব্যবসায়ী বাবুল

আলমডাঙ্গায় বিয়ের দাবিতে গৃহবধূর অবস্থান, বিতর্কে ভুসি মাল ব্যবসায়ী বাবুল

আলমডাঙ্গা অফিস: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে এক গৃহবধূর ব্যবসায়ীর বাড়িতে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার ডাউকি গ্রামের মৃত আয়ুব হোসেন (পন্ডিত)-এর ছেলে ও ভুসি মাল ব্যবসায়ী সোহানুর হোসেন বাবুল (৫০)-এর আলমডাঙ্গা বাবুপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাগরী খাতুন (৪৫), পিতা মৃত কেয়া মণ্ডল (উপনাম মাতাল), নিজে উপস্থিত হন বাবুলের বাসায় এবং দাবি করেন, বাবুলের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে না ফেরার ঘোষণা দেন।

স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম নেয়। পরিস্থিতি জটিল হতে দেখে বাবুল কৌশলে সাগরীকে তার চাচাতো বোনের বাড়িতে সরিয়ে নিয়ে যান। বাবুল বলেন, “হ্যাঁ, সম্পর্ক ছিল, কিন্তু এখন সে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছে। আমি বিয়ে করব না। মীমাংসার চেষ্টা করছি।”

তবে এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, এটি কোনো একক ঘটনা নয়। সাগরীর বিরুদ্ধে আগে থেকেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। বহু বছর প্রবাসে থাকা স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার একাধিক পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় এক গৃহবধূ জানান, “ওই মহিলা দিনের পর দিন একেকজনের সঙ্গে ঘোরাফেরা করে, আর তার মা এসে উল্টো সবাইকে ধমক দেয়। আমরা ভয়ে চুপ থাকি।”

আরও জানা গেছে, সাগরীর আগের কিছু অশালীন ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কিন্তু সেসবের পরেও তার আচরণে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। এক প্রবীণ ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মেয়ের মেয়ে পর্যন্ত আছে ওর, এই বয়সে এসে এমন লজ্জাহীন কাজ করে সমাজকে কলঙ্কিত করছে।”

এদিকে, বাবুলের ব্যবসা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন, “ব্যবসার ছদ্মাবরণে এইসব সম্পর্ক গড়ে তোলা বাবুলের পুরনো অভ্যাস। সাগরী শুধু মুখ খুলেছে, আরও অনেক আছে যারা ভয়ে চুপ।”

এলাকায় এখন আলোচনা, এই ঘটনাটি কীভাবে সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি হবে এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো হস্তক্ষেপ আসবে কিনা—এ নিয়েই

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *